প্রবাস আয় বাড়ার পাশাপাশি আমদানি ব্যয় কমে যাওয়ার কারণে বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে। এর ফলে খোলাবাজারে ডলারের দাম ধীরে ধীরে কমে আসছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ডলার বিক্রি হয়েছে ১১০ থেকে ১১১ টাকায়। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে খোলাবাজারে ডলারের দাম কমেছে ১০ টাকা। গত সপ্তাহে খোলাবাজারে নগদ ডলার ১২০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নানামুখী উদ্যোগের সুফল মিলছে ডলারের বাজারে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী সপ্তাহ থেকে আরো কমবে ডলারের চাহিদা। এতে খোলাবাজারে ডলারের দাম আরো কমে আসবে।
এদিকে দেশে ডলারের সংকট কাটাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক। সর্বশেষ ব্যাংক ও মানি এক্সচেঞ্জের ডলার বিক্রিতে মুনাফার হারও বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
এ ক্ষেত্রে ব্যাংকের সঙ্গে মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবধান হবে সর্বোচ্চ এক টাকা ৫০ পয়সা। ব্যাংক ডলার কিনে এক টাকা লাভে বিক্রি করতে পারবে।
এর আগে গত ১০ মের নির্দেশনায় ডলারের সরবরাহ বাড়াতে ব্যাংক ও রপ্তানিকারকের ডলার ধারণের ক্ষমতা কমানো হয়েছে। রপ্তানি আয় আসার এক দিনের মধ্যে ডলার নগদায়নের নির্দেশনা দেওয়া হয়। শুধু তা-ই নয়, ডলারের দর নিয়ন্ত্রণের জন্য এক ব্যাংকের রপ্তানি আয় অন্য ব্যাংকে ভাঙানোর ওপর বিধি-নিষেধ দেওয়া হয়েছে।
রাজধানীর মতিঝিল দিলকুশা ও গুলশান এলাকার একাধিক মানি চেঞ্জারের কর্মকর্তারা জানান, ১১০ টাকায় ডলার কিনে ১১২ টাকায় বিক্রি করছেন।
অন্যদিকে আন্ত ব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলার কিনতে খরচ করতে হচ্ছে ৯৫ টাকা। অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারি আমদানি বিল মেটাতে এই দরে ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করছে। নিয়ম অনুযায়ী এটাই ডলারের আনুষ্ঠানিক দর। তবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতেও এখন ১০৬ থেকে ১০৮ টাকায় নগদ ডলার বিক্রি হচ্ছে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট