জুমার খুতবায় মাইক ব্যবহার নিয়ে কুমিল্লার মুরাদনগরে দুই মেম্বার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় গ্রুপের ১৪ জন আহত হয়েছে। আজ শনিবার সকালে উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কুরুন্ডি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সাবেক মেম্বার নূরুল ইসলাম ও বর্তমান মেম্বার সবুজ মিয়ার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের পর সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
ঘটনার পর থেকে পুরুষশূণ্য হয়ে পড়েছে এলাকা। তবে এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সংঘর্ষের সময় উভয় গ্রুপের হাতে টেডা, লাঠি ও লোহার পাইপ ছিল।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, কুরুন্ডি গ্রামে তিনশ গজের ব্যবধানে একটি মাদরাসা ও মসজিদ রয়েছে। জুমার নামাজে খুতবা পড়ার সময় মাইক ব্যবহার করলে উভয়ের সমস্যা হয়। তবে কে মাইক চালাবে আর কে চালাবে না এই বিষয়ে শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় চেয়ারম্যান বাহার খানের মধ্যস্থতায় একটি সালিস হলেও সমাধানে আসতে পারেনি উভয় পক্ষ। এরই জেরে শরিবার সকালে কথাকাটাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে তারা। ঘণ্টাব্যাপী মারামারিতে মাদরাসা ও বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর করেন তারা।
অভিযোক্ত সাবেক মেম্বার নূরুল ইসলাম ও বর্তমান মেম্বার সবুজ মিয়ার মুঠো ফোন বন্ধ থাকায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। স্থানীয় প্রভাবশালী মাতব্বর শাজাহানের মুঠো ফোনে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
স্থানীয় চেয়ারম্যান বাহার খান বলেন, নির্বাচন থেকেই দুই মেম্বারের মধ্যে মতো বিরোধ চলছে। গতকাল (শুক্রবার) বিকালে স্থানীয়ভাবে বসে সমাধান করতে পারিনি। আজ আমি এলাকায় নেই। শুনছি তারা মারামারি করেছে।
বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি খুতবার সময় মাইক ব্যবহার নিয়ে মতবিরোধ হচ্ছে সাবেক মেম্বার নূরুল ইসলাম ও বর্তমান মেম্বার সবুজ মিয়ার সমর্থকদের মধ্যে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে মারামারি হয়েছে। বর্তমানে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়ন আছে। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট