দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে উসকানিমূলক ছয়টি ভিডিও অপসারণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন এবং ফেসবুক ও ইউটিউব কর্তৃপক্ষকে আদেশটি মেনে দুই সপ্তাহের মধ্যে হাইকোর্টে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি গ্রহণ করে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে দেশের সুনাম ক্ষুণ্ণ করে এমন উসকানিমূলক ভিডিও সরাতে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
এর আগে গত রবিবার (২৮ আগস্ট) উসকানিমূলক ও জনজীবনে অস্থিরতা তৈরি করে এমন ভুয়া সংবাদ ও ভিডিও সরিয়ে ফেলতে ফেসবুক ও ইউটিউবের বিরুদ্ধে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আরাফাত হোসেন খান, আইনজীবী নিলুফার আনজুম এবং জজ কোর্টের ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলাম। রিটে উসকানিমূলক ভিডিও চিহ্নিত করতে মনিটরিং বোর্ড গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়।
এ সংক্রান্ত পাঠানো এক নোটিশে বলা হয়, ফেসবুক ও ইউটিউব কর্তৃপক্ষ অনলাইন ও সোশ্যাল মিডিয়াতে উসকানিমূলক পোস্টের ওপর নজর রাখতে ও নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। যা রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও জনজীবনের শৃঙ্খলার জন্য হুমকি। ভুয়া তথ্য রাষ্ট্রযন্ত্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে যা সংবিধানের ২৭,৩১,৩৮ ও ৪৪ ধারার লঙ্ঘন। বাংলাদেশের টেলিকমিউনিকেশন আইনের ৩০, ৬৪, ৭৬, ৯৭ এ এর ধারা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ৮, ১৩, ১৬, ২৫ ধারার লঙ্ঘন হয়েছে। লঙ্ঘিত হয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৪৬ ধারাও। এতে আরও বলা হয়, সম্প্রতি দেখা গেছে ফেসবুক ও ইউটিউব তাদের নজরদারি কৌশল পুরোপুরি অনুসরণ করছে না। বিশেষ করে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এটি বেশি ঘটছে। বাংলাদেশে প্রচুর ভুয়া সংবাদ, কনটেন্ট, ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে। এতে করে অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও বুদ্ধিজীবীর সম্মানহানি হচ্ছে। পররাষ্ট্রনীতির অনেক স্পর্শকাতর তথ্যের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে সম্প্রচারের কারণে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বাংলাদেশেরও।
এ নোটিশ পাঠানো হয় ফেসবুক ও ইউটিউব বাংলাদেশের পাবলিক পলিসি-বিষয়ক প্রধান শাবনাজ রশিদ দিয়া, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান, ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্টদের।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট