সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের ঝুমন দাস আপনকে আবারও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দিনভর শাল্লা থানা পুলিশ আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের পর রাত সাড়ে ১১টার দিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা নিয়ে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আজ বুধবার (৩১ আগস্ট) তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২৮ আগস্ট বেলা ৩টার দিকে ঝুমন দাস ফেসবুকে একটি আপত্তিকর পোস্ট দিয়েছেন- এমন খবরে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়।
পরে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে নোয়াগাঁও গ্রামের বাড়ি থেকে ঝুমনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর তার বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা রুজু করে গ্রেপ্তার দেখায়।
শাল্লা থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ফেসবুকে পোস্টের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দুপুরে ঝুমন দাসকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি পোস্টটি তার করা বলে স্বীকার করেন। এরপরই তার বিরুদ্ধে শাল্লা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ’
গত বছরের ১৬ মার্চে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন ঝুমন দাস আপন। এদিন রাতেই ঝুমনকে আটক করে শাল্লা থানা পুলিশ। এর জের ধরে ১৭ মার্চ নোয়াগাঁও গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও পারিবারিক মন্দিরে হামলা চালানো হয়। পরে ১৭ মার্চ ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত সেদিন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ২২ মার্চ শাল্লা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে পুলিশ। এই মামলায় ২৩ মার্চ ঝুমনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ৬ মাস পর উচ্চ আদালতের মাধ্যমে জামিনে বের হয়ে আসেন ঝুমন দাস আপন।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট