প্রাথমিক শিক্ষায় সংশ্লিষ্ট কোনো শিক্ষক-কর্মচারী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে বা শৃঙ্গলাজনিত কারণে সরাসরি বদলি করা যাবে না। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় উপ পরিচালকরা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রশাসনিক বদলির জন্য মহাপরিচালক বরাবর সুপারিশ পাঠাবেন।
প্রাথমিকে শিক্ষক এবং সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের অনলাইনে বদলির বিষয়ে একগুচ্ছ নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। গতকাল রবিবার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত ‘সমন্বিত অনলাইন বদলি নির্দেশিকা-২০২২’ এ এসকল নির্দেশনা দেওয়া হয়।
প্রশাসনিক বদলির ক্ষেত্রে অভিযুক্তদের তুলনামূলক সুগম কর্মস্থলে না দেওয়ার বিষয়ে নির্দেশিকায় জানানো হয়। নতুন কর্মস্থলে তাদের ২ বছর চাকরিকালও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ ছাড়া ৩ বছরের আগে অভিযুক্তরা পুণঃবদলির আবেদন সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মচারীরা প্রতিবছর জানুয়ারি ও জুলাই মাসে বদলির আবেদন করতে পারবেন। এ ছাড়া মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তর প্রয়োজনে যেকোনো সময় বদলি করার অধিকার রাখে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক বদলি :
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষকদের প্রতিবছর জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসের মধ্যে একই উপজেলা বা থানা, আন্তঃউপজেলা বা থানা, আন্তঃজেলা ও আন্তঃবিভাগে বদলি করা যাবে। তবে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য হলে অন্য সময়েও বদলি করা যাবে।
বদলির শর্তাবলিতে জানানো হয়, যেসকল বিদ্যালয়ে ৪ জন অথবা তার কম শিক্ষক রয়েছে, সেসকল বিদ্যালয় থেকে সাধারণভাবে বদলি করা যাবে না। যেসকল প্রতিষ্ঠানে ৪০ বা তার বেশি শিক্ষার্থীর জন্য ১ জন শিক্ষক রয়েছে তাদেরও সাধারণভাবে বদলি করা যাবে না।
সহকারী শিক্ষক পদে ন্যূনতম ২ বছর পূর্ণ হলে অথবা শূন্য পদ সাপেক্ষে আন্তঃবিভাগীয় পর্যায় পর্যন্ত বদলি করা যাবে। তবে বদলির পর ৩ বছর অতিক্রান্ত না হলে পুনঃবদলির আবেদন বিবেচিত হবে না। এমনকি পদোন্নতি পেলেও একই শর্ত প্রযোজ্য হবে।
নদীভাঙনসহ বিভিন্ন কারণে স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন হলে বা শূন্য পদ থাকলে নিজ স্থানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বদলির আবেদন বিবেচনা কর হবে। বদলি আবেদনের ক্ষেত্রে দূরত্ব, লিঙ্গ, চাকরির জেষ্ঠ্যতা, প্রতিবন্ধকতা, বিবাহ, বিচ্ছেদ এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে অগ্রাধিকার নির্ধারণ করা হবে। চাকরি জীবনে বিবাহ ও বিচ্ছেদজনীত কারণে একবার করে স্থায়ী ঠিকানায় বদলির অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। শূন্য পদ সাপেক্ষে উপজেলার মোট পদের ১০ শতাংশ বাহির থেকে বদলি করা যাবে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট