1. fauzursabit135@gmail.com : Fauzur Rahman Sabit : Fauzur Rahman Sabit
  2. sizulislam7@gmail.com : sizul islam : sizul islam
  3. mridha841@gmail.com : Sohel Khan : Sohel Khan
  4. multicare.net@gmail.com : অদেখা বিশ্ব :
রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১২:০৬ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
ঢাকায় আইএলও কনভেনশন অনুস্বাক্ষর বাস্তবায়ন সম্পর্কিত মতবিনিময় সভা বগুড়ায় গ্রাম আদালত কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা ও করণীয় বিষয়ক অর্ধ-বার্ষিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত রানীরপাড়া স্কুলে আলোর প্রদীপ সংগঠনের পুষ্টিকর খাবার ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ ময়মনসিংহে ‘আদিবাসী শিশুদের শিক্ষা: অংশীজনের প্রত্যাশা’ বিষয়ক মতবিনিময় সভা নেত্রকোণায় নৃগোষ্ঠীর শিশুদের শিক্ষা: অংশীজনের প্রত্যাশা বিষয়ক মতবিনিময় সভা সোনাতলায় মাদকের ব্যপকতা প্রতিরোধে বিক্ষোভ সমাবেশ সোনাতলায় মাদক নির্মূলের দাবিতে নাগরিক কমিটির স্মারকলিপি প্রদান বৈশ্বিক অর্থায়ন সংকটের প্রেক্ষিতে এনজিওদের বর্তমান অবস্থা ও করণীয় বিষয়ক মতবিনিময় সভা প্রবীন নাট্যকর্মী বাবলু খানের মৃত্যুঃ বিভিন্ন মহলের শোক পশ্চিম বঙ্গের কবি মনিকা রায়ের কবিতার ডায়েরি থেকে

পার্বত্য অঞ্চলের চিকিৎসার জন্য রোগী পরিবহনে এখনো পূরনো ধারা

এল বি চাকমা
  • প্রকাশিত: শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২
পাহাড়ে চিকিৎসার জন্য রোগী পরিবহনে প্রাচীন বাহন। ছবি- সংগৃহীত
পাহাড় ভালবাসেনা এরকম মানুষ খুব কম ই আছে।অথচ আগেকার সময়ে পাহাড়ে বসবাস করাটা ছিল অত্যাধিক রিস্কের ব্যাপার। কারন এক সময় পাহাড়ে বন্য হাতি,বাঘ,বিষধর সাপের বিরাজমান ছিল অগণিত।অনেকেই সাপের কাপড়ে এবং বন্য হাতির পায়ের চাপে প্রাণ হারিয়েছিল।এসব ঘটনা আমি দেখিনি কিন্তু শুনেছি বাপ দাদার কাছ থেকে।এক কথায় পাহাড় এক সময় বসবাসের অযোগ্য ছিল।

পার্বত্য অঞ্চলে চিকিৎসার জন্য রোগীকে হাসপাতালে নেয়া হয় এভাবে। ছবি- সংগৃহীত

কিন্তু আজ প্রশ্ন জাগে, যারা অনেক কষ্ট করে সেই আদিকাল থেকে পাহাড়কে বসবাসের উপযোগী করে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। আজ তারা কেমন আছে? কখনও কি জানতে চেয়েছি তাদের সুবিধা অসুবিধার কথা?
মানুষ বেঁচে থাকার জন্য প্রথমত প্রয়োজন নিরাপদ বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য তারপর অন্যান্য উন্নয়ন! কিন্তু আমরা আজ কি করছি? উন্নয়নের নামে নিরীহ মানুষদের উচ্ছেদ করছি। যেসব সর্বাগ্রে প্রয়োজন সেসব না করে পর্যটন, রিসোর্ট, বিলাস বহুল হোটেল, মসজিদ, মন্দিরের জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছি। তাতে কি গহীন পাহাড়ের মানুষগুলোর খুব বেশি উপকার হয়েছে। এই রিসোর্ট, মন্দির-মসজিদ না করে সবার আগে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয় নিয়ে তো কাজ করা জরুরী নয় কি? কারন মানুষ বেঁচে থাকলে এবং পড়তে জানলেই তো ধর্ম চর্চা করবে। যেখানে মানুষের জীবন বাঁচানো সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সেখানে মসজিদ-মন্দির কি কাজে আসবে সেটাই পাহাড়ীদের সামনে বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে।
পাহাড়ে উন্নয়ন হয়নি সেটা অস্বীকার করা যাবে না, উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু বিশাল সাগরে এক কেজি লবণ ছিটিয়ে যেমন সাগরের সব পানি লবণাক্ত হয় না, তেমনি পাহাড়ের সামনের অংশের সৌন্দর্যবর্ধন করে পিছনের অংশের মানুষগুলো মানবেতর জীবন যাপনের গল্প কখনই সমতলের মানুষ জানতে পারে না।
সাজেকে উন্নত মানের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে একজন রোগীকে হাসাপাতালে নেওয়া হচ্ছে।এটা সত্যি আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। এ যেন বাতির নিচে অন্ধকার পাহাড়ে এখনো পুরণো কায়দায় চিকিৎসার জন্য রোগী বহন করা হয়। পাহাড়িদের স্বপ্ন কবে তারা আধুনিক প্রযুক্তির অর্ধেক সুযোগ নিতে পারবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট

Theme Customized BY LatestNews