মিয়ানমার সীমান্তে সম্ভাব্য যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও উপকূলরক্ষী বাহিনী কোস্ট গার্ডকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে সীমান্তে যেখানে জনবল বৃদ্ধি করা প্রয়োজন, সেখানেই বৃদ্ধির নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাত ও মিয়ানমার থেকে মর্টার শেল বাংলাদেশে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল রবিবার ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক থেকে ওই নির্দেশনা দেওয়া হয়। ওই বৈঠকে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগসহ সরকারের সব বিভাগ ও সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
বৈঠক শেষে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) খুরশেদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বিজিবি ও কোস্ট গার্ডকে বলে দিয়েছি সীমান্তে সজাগ থাকতে।
রিইনফোর্সমেন্ট (জনবল বৃদ্ধি) যতটুকু লাগে, যেখানে যা করা লাগে করবে। ’ তিনি বলেন, ‘সাগর পথে বা অন্য কোনোভাবে কোনো রোহিঙ্গা যাতে এ দেশে প্রবেশ করতে না পারে, সে ব্যাপারে আমরা সতর্ক দৃষ্টি রাখতে বলেছি। ’
মিয়ানমার সীমান্তে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘আমরা সেনা মোতায়েনের কথা এই মুহূর্তে ভাবছি না। ’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, সীমান্তে মিয়ানমারে সেনা মোতায়েনকে তাঁরা দেখছেন ভিন্ন প্রেক্ষাপট হিসেবে। তার সঙ্গে তাঁরা বাংলাদেশের তুলনা করছেন না।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট