একদিকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। অন্যদিকে বিদ্রোহী গোষ্ঠী ইউনাইটেড লীগ অব আরাকানের (ইউএলএ) সামরিক শাখা আরাকান আর্মি। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় তীব্র লড়াই চলছে ওই দুই পক্ষের মধ্যে। বেশ কয়েক দফায় মর্টারের গোলা সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশে এসে পড়েছে। হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে।
আরাকান আর্মি রাখাইনে তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করে বলেছে, ওই হামলার দায় মিয়ানমার বাহিনীর। আর মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ এ জন্য আরাকান আর্মিকে দায়ী করেছে।
মিয়ানমার থেকে পাওয়া খবরে জানা গেছে, আরাকান আর্মি মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর হামলা এবং বাংলাদেশে বেসামরিক জনগণ হতাহত ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। একই সঙ্গে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ভূমিকা রাখতে বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা প্রত্যাশা করছে তারা।
মিয়ানমার থেকে বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গেছে, মিয়ানমারের সামরিক কাউন্সিল দেশের সীমান্ত এলাকাগুলোতে সামরিক উপস্থিতি জোরদার করছে। সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী বেসামরিক এলাকায় সামরিক জেট এয়ারক্রাফট থেকে গোলাবর্ষণ করা হচ্ছে। প্রতিদিনই প্রাণহানি ঘটছে।
গত শুক্রবার বান্দরবানের ঘুমধুম সীমান্তে মিয়ানমার থেকে আসা গোলা বিস্ফোরিত হয়ে একজন নিহত হয়েছে। রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে সক্রিয় গোষ্ঠী আরাকান আর্মি গত শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে বলেছে, এ ধরনের মৃত্যুর খবর শোনা কষ্টকর। দুই বছর ধরে মিয়ানমারের সামরিক কর্তৃপক্ষ রাখাইন-বাংলাদেশ সীমান্ত অঞ্চলে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন করে চলেছে। আর এর দোষ চাপাচ্ছে আরাকান আর্মির ওপর। আরাকান আর্মি রাখাইনে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ভূমিকা রাখার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ জন্য তারা বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি প্রত্যাশা করেছে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট