ইউক্রেনে হামলা চালিয়ে দখলে নেওয়া চারটি অঞ্চলে জরুরি ভিত্তিতে গণভোটের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন রুশপন্থী নেতারা। এতে করে ওই অঞ্চলগুলো রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত করার পথ প্রশস্ত হবে।
ইউক্রেনের এসব উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের রুশ কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি সপ্তাহেই রাশিয়ায় যোগদানের জন্য ভোট চান তারা।
বিবিসি জানিয়েছে, সম্প্রতি রাশিয়ার আগ্রাসন অনেকটাই কমে গেছে এবং উত্তর-পূর্বের কিছু অংশ পুনরুদ্ধার করেছে ইউক্রেনীয় সেনারা।
এর আগে ২০১৪ সালে ইউক্রেন থেকে জোরপূর্বক ক্রিমিয়া দখল করে গণভোটের আয়োজন করেছিল রাশিয়া। তা নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল।
অধিকৃত ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার ওই গণভোটের আয়োজনকে কখনোই স্বীকৃতি দেয়নি আন্তর্জাতিক মহল। চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত দখলে নেওয়া ইউক্রেনের এলাকাগুলোতেও গণভোটের আয়োজনের পরিকল্পনার কথা জানানো হচ্ছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেনের খারসন, দোনেৎস্ক, লুহানস্ক এবং জাপোরিঝিয়া অঞ্চলকে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করতেই গণভোটের আয়োজন চলছে। যা ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডের ১৫ শতাংশ।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবা গতকাল মঙ্গলবার বলেছেন, জাল গণভোট, কিছুই পরিবর্তন করতে পারবে না।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন বলে প্রত্যাশা করা হয়েছিল। তবে ক্রেমলিনের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, সেই পরিকল্পনা স্থগিত করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে কোনো কারণ দেখানো হয়নি।
দনবাসের দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের রুশ সমর্থিত কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা আগামী ২৩-২৭ সেপ্টেম্বর ভোট দেবে। ইউক্রেন হামলার নির্দেশের তিন দিন আগে এই দুটি অঞ্চল স্বাধীন হিসেবে স্বীকৃতি দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
অধিকৃত খারসনের দক্ষিণ অঞ্চলে রাশিয়ার নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা বলেছেন, তারাও একটি ভোট দেবেন এবং একই রকম ঘোষণা জাপোরিঝিয়ার রুশ অধিকৃত এলাকা থেকেও এসেছে। কেউ দূরে থেকেও ভোটে অংশ নিতে পারবেন।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট