অভিনব পদ্ধতিতে পেস্ট আকারে স্বর্ণ চোরাচালানের দায়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তিন যাত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই যাত্রীর শর্টপ্যান্ট পুড়িয়ে পেস্ট আকারে রাখা ভেজা স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে। এমন পদ্ধতিতে স্বর্ণ পাচার এবারই প্রথম। ওই তিন যাত্রীর নাম আলী আকবর, রফিকুল ইসলাম ও মো. রুবেল।
শনিবার রাতে ঢাকা কাস্টম হাউজের রাজস্ব কর্মকর্তা শফিক ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত উদ্ধার ও যাচাই বাছাই করে স্বর্ণ পাচারের বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে কাস্টমস। উদ্ধার করা স্বর্ণের ওজন ২ কেজি ৩৮২ গ্রাম। এর দাম প্রায় দেড় কোটি টাকা।
শফিক ইসলাম বলেন, ওই তিন যাত্রী রবিবার ভোরে দুবাই থেকে একটি ফ্লাইটে ঢাকা আসেন। ওই যাত্রীরা ফ্লাইটের ৫ডি, ১৪সি, ৯ডি সিটে বসা ছিলেন। ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে রেড চ্যানেল দিয়ে প্রবেশ করে প্রত্যেকে দুটি করে স্বর্ণের বার আনার ঘোষণা দিয়ে শুল্ক দেন।
তিনি বলেন, শুল্ক দেওয়ার পর গ্রিন চ্যানেল অতিক্রমের সময় তাদের কাছে ঘোষণা ছাড়া কোনো পণ্য কিংবা স্বর্ণ আছে কি না, জানতে চাইলে যাত্রীরা তাদের কাছে থাকা দুটি করে স্বর্ণের বার এবং ৯৮ গ্রাম করে স্বর্ণালংকার ছাড়া আর কোনো স্বর্ণ নেই বলে জানান। পরে নিশ্চিত হতে তাদের আর্চওয়ে করা হলে আর্চওয়েতে ধাতব পদার্থ থাকার সংকেত পাওয়া যায়। এরপর শরীর তল্লাশি করা হলে তাদের শর্টপ্যান্টে অভিনব কায়দায় আটকানো পেস্ট আকারে স্বর্ণ পাওয়া যায়। এরপর তাদের পরিহিত শর্টপ্যান্ট খুলে স্বর্ণকারের সহায়তায় তা আগুনে পুড়িয়ে এবং এসিডে ধুয়ে স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।
তিনি জানান, যাত্রী আলী আকবরের শর্টপ্যান্ট পুড়িয়ে ৪৬৪ গ্রাম স্বর্ণ পাওয়া যায়। তার কাছ থেকে সব মিলিয়ে ৭৯৪ গ্রাম স্বর্ণ জব্দ করা হয়, যার বাজারমূল্য প্রায় ৪৫ লাখ টাকা। যাত্রী রফিকুল ইসলাম ও মো. রুবেল ইসলামের শর্টপ্যান্ট পুড়িয়ে ৯২৮ গ্রাম স্বর্ণ পাওয়া যায়। তাদের দুজনের কাছ থেকে সবমিলিয়ে ১ হাজার ৫৮৮ গ্রাম স্বর্ণ জব্দ করে কাস্টম হাউজ ঢাকার প্রিভেন্টিভ টিম, যার বাজারমূল্য প্রায় এক কোটি টাকা।
কাস্টমস আইনে তিনজনকে আসামি করে বিমানবন্দর থানায় ফৌজদারি একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট