প্রবাস আয় ও রপ্তানিতে নতুন করে সব ব্যাংকে ডলারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন রেমিট্যান্সে প্রতি ডলারের সর্বোচ্চ দাম হবে ১০৭ টাকা, আগে যা ছিল ১০৭ টাকা ৫০ পয়সা। তবে রপ্তানির ক্ষেত্রে ডলারের দাম ৫০ পয়সা বাড়িয়ে ৯৯ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়েছে।
গতকাল রবিবার অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ অথরাইজড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) বৈঠক করে এ সিদ্ধান্ত নেয়।
রাজধানীর মতিঝিলে সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি সেলিম আর এফ হোসেন, বাফেদার চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের এমডি আফজাল করিমসহ অন্যান্য ব্যাংকের এমডি উপস্থিত ছিলেন।
ইউক্রেন যুদ্ধের সাত মাসের কম সময়ে দেশের মুদ্রার দর পতন হয়েছে ২৫ শতাংশের বেশি। যুদ্ধ শুরুর আগে ডলারের দাম ছিল ৮৪ থেকে ৮৫ টাকা।
বৈঠক শেষে সোনালী ব্যাংকের এমডি আফজাল করিম সাংবাদিকদের বলেন, বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে রেমিট্যান্সে ৫০ পয়সা কমিয়ে রপ্তানি বিল নগদায়নে ৫০ পয়সা বাড়ানো হয়েছে। এতে পার্থক্য কমবে।
আজ সোমবার থেকে রপ্তানি বিল নগদায়নের নতুন দাম কার্যকর হবে। আর রেমিট্যান্সের দাম কার্যকর হবে ১ নভেম্বর থেকে। দুইয়ের মধ্যে ব্যবধান কমাতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকগুলো। এখনকার মতোই রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে ডলার কেনার গড় দরের সঙ্গে এক টাকা যোগ করে আমদানি দায় নিষ্পত্তি করা হবে।
আমদানির ক্ষেত্রে আগের মতোই রেমিট্যান্স আহরণ ও রপ্তানি বিল নগদায়নে ব্যাংকগুলোর গড় খরচের সঙ্গে এক টাকা যোগ করে আমদানিকারকের কাছে ডলার বিক্রি করবে ব্যাংকগুলো। অর্থাৎ স্প্রেড সীমা হবে এক টাকা।
ডলার নিয়ে প্রায় এক মাস পর বৈঠক করল এই দুই সংগঠন। এর আগে সবশেষ ২৬ সেপ্টেম্বর বৈঠকে প্রবাস আয়ে ডলারপ্রতি ৫০ পয়সা কমিয়ে ১০৭ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়। ওই বৈঠকে প্রবাস আয় ছাড়া রপ্তানি ও আমদানির ক্ষেত্রে ডলারের দামে কোনো পরিবর্তন করা হয়নি।
অস্থির ডলার বাজার নিয়ন্ত্রণে ৮ সেপ্টেম্বর এবিবি ও বাফেদার সঙ্গে আলোচনায় বসে বাংলাদেশ ব্যাংক। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ডলারের একক রেট সংগঠন দুটি নিজেরা আলোচনা করে ঠিক করবে। ১১ সেপ্টেম্বর এবিবি ও বাফেদা বৈঠক করে। তাতে রপ্তানি আয়ে প্রতি ডলারের সর্বোচ্চ দাম ৯৯ টাকা ও প্রবাস আয়ে ১০৮ টাকা বেঁধে দেওয়া হয়। ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ওই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট