সোনিয়া গান্ধী প্রায় আড়াই দশক আগে ভারতের পুরনো দল কংগ্রেসের হাল ধরেছিলেন। সেই সময় দলে যে সঙ্কট ছিল, বর্তমানে তা আরও বেড়েছে। এ পরিস্থিতির মধ্যে কংগ্রেসের নবনির্বাচিত সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে আজ বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে দলটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেবেন।
১৯৯৮ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস হেরে যাওয়ার পর সীতারাম কেশরীকে সরিয়ে দিয়ে দলটির ওয়ার্কিং কমিটি কংগ্রেসের দায়িত্ব তুলে দিয়েছিল সোনিয়া গান্ধীর কাঁধে।
ওই সময় ভারতের মাত্র তিনটি রাজ্যে ক্ষমতায় ছিল দেশটির স্বাধীনতা সংগ্রামের ঐতিহ্যবাহী শতাব্দী পুরনো দল। কিন্তু লোকসভায় নির্বাচিত সাংসদের সংখ্যা ছিল ১৪১ জন। গত দু’টি লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদি ঝড়ের মুখে ষাটের গণ্ডিও পার হতে পারেনি কংগ্রেস।
পরিস্থিতির নাটকীয় পরিবর্তন না হলে জগজীবন রামের পরে প্রথম দলিত কংগ্রেস সভাপতিকে সামনে রেখেই ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে লড়তে নামবে কংগ্রেস। সেখানে দলিত এবং অনগ্রসর ভোট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে নরেন্দ্র মোদি যেভাবে হিন্দু ভোটের ব্যাপারে দলিত, ওবিসি, সবাইকেই টেনে এনেছেন; তাতে সেখান থেকে দলিত ভোট ফিরে পাওয়াটা খাড়গের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেসের সামনে কঠিন লড়াই হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
লোকসভা নির্বাচনের আগে হিমাচল প্রদেশ, গুজরাত, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, রাজস্থানসহ কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা ভোটও রয়েছে। শেষ দু’টি রাজ্যে কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকলেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে দলের অবস্থা তেমন ভালো নয়। ফলে লোকসভা ভোটের আগে দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখাও খাড়গের বড় চ্যালেঞ্জ।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ অক্টোবর কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী শশী থারুরকে বিপুল ব্যবধানে পেছনে ফেলে জয়ী হন খাড়গে। ভোট পড়েছিল ৯ হাজার ৩৮৫ জনের। তার মধ্যে খাড়গে পান ৭ হাজার ৮৯৭ ভোট।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট