1. fauzursabit135@gmail.com : Fauzur Rahman Sabit : Fauzur Rahman Sabit
  2. sizulislam7@gmail.com : sizul islam : sizul islam
  3. mridha841@gmail.com : Sohel Khan : Sohel Khan
  4. multicare.net@gmail.com : অদেখা বিশ্ব :
বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:০০ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
ঢাকা ও আইডিয়াল কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের স্মরণে সভা শনিবার আরো ৩৪ জেলায় নতুন ডিসি বৃষ্টি নিয়ে যে বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর খাগড়াছড়িতে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এর ৩৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন কেশবপুরে চালককে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেফতার-১, ইজিবাইক উদ্ধার জাককানইবি’তে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পেলেন অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের একমাস পূর্ণ হওয়ায় শহীদদের স্মরণে শহীদ মার্চ পালন  সুনামগঞ্জে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের গণসমাবেশ রাজশাহীতে নাশকতা মামলায় দুই ইউপি চেয়ারম্যান আটক

রাজাকার এবং আল-বদরের রতিক্রিয়া

ডা.মোজাহিদুল হক
  • প্রকাশিত: রবিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২২
ডা.মোজাহিদুল হকঃ
কেন্নোর মতো ধীরগতিতে আবারও সংগঠিত হচ্ছে আলবদর, ক্ষুধার্ত শিকারী- বেড়ালের মতো জ্বলজ্বল চোখ নিয়ে এগুচ্ছে ওরা খামছে দিতে মানচিত্র। আমরা টের পাচ্ছিনা কে আমাদের পশ্চাদ্ গামী। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকজন আজ শত বিভক্ত, সে বিভক্তি তাদের স্নায়ুকোষকে আর দৃষ্টি কে রাজাকারদের গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়ার ঘনকালো ধোঁয়ার মত অন্ধকারে ঢেকে দিয়েছে। সে সূযোগে সন্তোর্পনে নতুন নামে সংগঠন বানাচ্ছে আলবদর, আল শামস।
আপনারা টের পাচ্ছেন? শুনতে পাচ্ছেন কিছু?
আমি শুনতে পাচ্ছি , বহুদূর থেকে মহানৈঃশব্দ্যের ভেতর কম্পমান অশ্রুতপূর্ব যে অলৌকিক অস্পষ্ট শব্দের মতো অজানা কিছু শব্দ , একাত্তরের রণাঙ্গনে যারা প্রান দিয়েছিল তাদের কন্ঠস্বর। কিংবা সেই সাংবাদিক মহিলা যার চোখ উপড়ানো ছিল, ধারালো ছুরিতে টুকরো টুকরো করে কাটা হয়েছিল যার স্তন, পিছমোড়া করে বাঁধা ছিল যার হাত, শিশু সন্তান কে দুপুরের ভাত খাওয়ানো অবস্থায় যাকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল।আমি স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছি অন্যদুনিয়া থেকে ভেসে আসা দুর্বোধ্য সে কন্ঠস্বর। সে কন্ঠস্বর আমাকে পূর্বাভাস দিচ্ছে অনাগত ভয়ংকর ভবিতব্যের।
আশ্চর্য আমার মতো সামান্য এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সে কন্ঠস্বরের ভাষা বুঝতে পারছি আর আপনারা অভিসন্দর্ভ, পিএইচডি ডিগ্রি, বিদেশি স্কলারশীপ, জাতীয় পদক নিয়েও সে ভাষা বুঝতে পারছেন না?
একাত্তরের পরাজয়ের পর, শিকার শেষে সাপেদের সুড়ঙ্গে ফেরার মতো নীরব ছিল ওরা। দেখতে পাননি নামের শেষে বাংলাদেশ যুক্ত করে ওরা কেমন রক্ত চেটে খেয়েছে!
সত্যের সামনে দাঁড়ানোর সাহস ওদের নেই বলেই ওরা খোলস পাল্টে জমায়েত হচ্ছে। ওদের চোখে কোন অনুশোচনা নেই। ওরা জমায়েত হচ্ছে একাত্তরে ওদের হাতে নিহতদের গণ কবর মাড়িয়ে, এরাই তো পাঞ্জাবীদের চিনিয়ে নিয়ে এসেছিল আমাদের বাড়ী, ওদের সঙ্গী সাথীরাই তো চোখে কালো কাপড় বেঁধে, হাত পিছমোড়া করে বেঁধে আমার বাবাকে পাঠিয়ে ছিল হায়েনার টর্চার সেলে।
তারা এসে বসছে ক্যামেরার ফোকাসের আলোয় সহাস্য বদনে নুরানি চেহারা নিয়ে। মুক্তিযোদ্ধার পত্রিকায় তাদের নিয়ে খবর হয়। এ যদি বিস্ময় হয় তবে এ বাংলায় ভোর ফিরে না আসা অতলান্তিক অনন্ত প্রসারী রাত নামুক।
কেউ কেউ তো আপসোস করে, কোন এক রাজাকার জেলে খুব কষ্টে আছে। জেলখানা কষ্টের জায়গা, নিশ্চয়ই একাত্তরের নারী বন্দীশিবিরের চেয়ে নয়? কিংবা একাত্তরের জল্লাদ খানার মতো রক্ত মাংসের গন্ধ নেই সেখানে?
কেউ কেউ বলে ওরা ক্ষমা চাইলে বিবেচনা করবেন। ক্ষমা কি বীরধর্ম? ক্ষমা দূর্বলের ধর্ম। কিন্তু তারা তো ক্ষমার অযোগ্য। আপনারা ক্ষমা করার কে? আগে জানুন তিরিশ লক্ষ শহীদ তাদের ক্ষমা করেছে কি? যে দু’লক্ষ সম্ভ্রম হারিয়েছে তারা ক্ষমা করেছে কি?
আমাদের বাড়ী পুড়িয়ে দেয়ার রাতে, কাছারী ঘরে শোয়া দুই কিশোর মুক্তিযোদ্ধা কে বেয়নেট চার্জ করে মারা হয়েছিল তারা ক্ষমা করেছিল কি? সতেরই ডিসেম্বর একাত্তরে বন্দীশিবির থেকে অপরাপর উলঙ্গ অর্ধউলঙ্গ, স্ফীত উদর, বিক্ষত স্তন, বিধ্বস্ত যোনিদেশ নিয়ে যে নারীগন বাইরের পৃথিবীতে ছুটে এসেছিলো কিংবা হামাগুড়ি দিয়ে এগোতে এগোতে যাত্রা পথেই জ্ঞান হারিয়েছিলো তারা ক্ষমা করেছে কি?
আাহা কি বিস্ময়! যে বাংলাদেশের জন্মই তারা চায়নি সে দেশের নাম ব্যবহার করে রাজনৈতিক দল। সেদিন সভা শেষে ওরা যখন হেঁটে যাচ্ছিল আমার মনে হচ্ছিল একাত্তরের ঘাতক এই মাত্র একটি হত্যাকান্ড ঘটিয়ে, নির্ভয়ে হেঁটে যাচ্ছে অন্য আর একটি হত্যার উদ্দেশ্যে।
তাদের আত্মপ্রকাশ দেখে আমার কি মনে হয়েছে জানেন? আমার স্বাধীন ভূখণ্ডে সঙ্গম চলছিলো। এটি ছিলো পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যতিক্রমী যৌনক্রিয়া। যৌন আনন্দ নয় বরং নতুন নামে একটি দানব শিশুর জন্মের জন্য জটিল রতিক্রিয়া চলছিলো। সে রতিক্রিয়ার ছবি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের পত্রিকায় ছাপা হলো।
শুনেছি রাজাকার, পাক সেপাই আর যেসব দালালকে হত্যা করে কবর দেয়া হয়েছিল এখানে -ওখানে, সেসব কবর শুন্য। কঙ্কালের চিহ্ন ও নেই। চরম কৌতুহলে শূন্য কবর গুলোর সন্ধানে গিয়ে দেখলাম রাজাকার আর পাঞ্জাবিদের কবর গুলো ভাঙা আর শূন্য। পবিত্র বাক্য উচ্চারন বিনা কবর দেয়া সৈনিক কিংবা রাজাকারের প্রেতাত্মা ছড়িয়ে পড়েছে এই জনপদে। ভর করেছে তাদের পতাকা বয়ে যাওয়া স্বাধীনতা বিরোধী এ প্রজন্মের ওপর। সে আত্মারা পান করবে ড. হুমায়ুন আজাদ কিংবা ড.অভিজিৎ এর মতো আরো কত জনের রক্ত।
এখন সিদ্ধান্ত নিন সে দানব শিশুকে জন্মানোর সুযোগ দেবেন নাকি জন্মানোর আগেই তাকে জঠরে পিষে মারবেন?
(যুদ্ধপরাধীদের সংগঠন জামায়াত, ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি (বিডিপি)’ নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করে নিবন্ধন চেয়েছে। নতুন বোতলে পুরোনো রাজনীতির ধান্ধা রাজাকারদের।)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট

Theme Customized BY LatestNews