উপ সম্পাদকীয়-
২০১৫ সালের এই দিনে জাগৃতির প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনকে হত্যা করা হয় আজিজ মার্কেটে তাঁর প্রকাশনীর ভেতরেই।
লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বরের কার্যালয়ে একই সময়ে হামলা করা হয়। সেখান থেকে প্রাণে বেঁচে ফিরেছেন প্রকাশক আহমেদ রশীদ টুটুল। তাঁর সাথে হামলার শিকার লেখক ও ব্লগার রণদীপম বসু এবং তারেক রহিমও অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছেন।
যুদ্ধপরাধীদের বিচারের দাবিতে শাহবাগে গড়ে উঠা গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে ও ব্লগার – প্রকাশক – লেখকদের ভয় দেখাতে ধর্মান্ধ চক্র খুনের রাজনীতি কায়েম করেছিল প্রতিশোধের নেশায়।
এই প্রতিশোধের রাজনীতি, বিএনপি নেত্রী বেগম জিয়া ও জামাত চক্রের রাজনৈতিক সহায়তা পেয়েছে। বিএনপি নেত্রী শাহবাগে জড়ো হওয়া ব্লগার ও লেখকদের, নাস্তিক – ফাস্তিক – নষ্টদের আন্দোলন বলে অভিহিত করেছিলেন; একইসাথে প্রতিটি সমাবেশে তিনি যুদ্ধপরাধী – রাজাকার জামাত নেতাদের রাজবন্দী বলে মুক্তি দাবি করছিলেন।
এখন পর্যন্ত এ সমস্ত খুনের একটিরও বিচার সম্পন্ন হয়নি, খুনের সাথে রাজনৈতিক ছত্রছায়ার যোগসূত্র খোঁজা হয়নি!
রাজনৈতিক কারণেই কিনা কে জানে? ক্ষমতাসীনরা ব্লগার – লেখক – প্রকাশক হত্যাকান্ড নিয়ে কথা বলতে চান না।
মাঝখান থেকে বিচার বিলম্বিত হচ্ছে। ঘাতকরা অন্য কারও উপর ছুরি চালানোর জন্য ছুরিতে শান দিচ্ছে।
এখন সাম্প্রদায়িকতার আগুনে পুড়ে ছাই হচ্ছে স্বদেশ। ক্ষমতাসীনরা ধরি মাছ না ছুঁই পানির ভূমিকা নিয়েছে। হেফাজত তোষণে ক্ষমতাসীনদের কিছুই অর্জিত হয়নি, তাও ক্ষমতাসীনদের মোহভঙ্গ ঘটেনি। ধর্মের বর্মে আস্থা খুঁজছে ক্ষমতাসীনরা!
সরকারবিরোধী রাজনীতির নামে প্রগতিশীলতার মোড়কে মোড়ানো নষ্ট রাজনৈতিক নেতা – কর্মীরা রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ও রাজনীতির সাথে ধর্মের মেলবন্ধনের বিরুদ্ধে একটি বাক্যও ব্যয় করে না। বিএনপি- জামাত প্রযোজিত ব্লগার-প্রকাশক খুনের ঘটনায়ও এসমস্ত কূপমণ্ডূকরা নীরব।
ফয়সাল আরেফিন দীপনকে স্মরি।
দীপনের জন্য ভালোবাসা