1. fauzursabit135@gmail.com : Fauzur Rahman Sabit : Fauzur Rahman Sabit
  2. sizulislam7@gmail.com : sizul islam : sizul islam
  3. mridha841@gmail.com : Sohel Khan : Sohel Khan
  4. multicare.net@gmail.com : অদেখা বিশ্ব :
মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৬ অপরাহ্ন

আজ সারা দেশে একসঙ্গে ১০০ সেতুর উদ্বোধন

অদেখা ডেস্ক
  • প্রকাশিত: সোমবার, ৭ নভেম্বর, ২০২২
খাগড়াছড়ির মহালছড়ি-জালিয়াপাড়া সড়কের ধুমনিঘাট সেতু

সারা দেশে একসঙ্গে ১০০ সেতুর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। আজ সোমবার সকাল ১০টায় গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি এসব সেতুর উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা এসব সেতুর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সেতু চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৫টি। সবচেয়ে কম কুমিল্লায় একটি সেতু।

এ ছাড়া সিলেটে ১৭, বরিশালে ১৪, ময়মনসিংহে ছয়, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী ও রংপুরে পাঁচটি করে এবং ঢাকা বিভাগে দুটি সেতু রয়েছে। সব মিলিয়ে সেতুগুলোর মোট দৈর্ঘ্য পাঁচ হাজার ৪৯৪.১৩ মিটার। সরকারের অর্থায়নে নির্মিত এসব সেতুতে ব্যয় করা হয়েছে ৮৭৯ কোটি ৬১ লাখ ৫৭ হাজার টাকা।

দৈর্ঘ্যের বিচারে সবচেয়ে বড় সেতু সিলেটের সুনামগঞ্জের রানীগঞ্জ কুশিয়ারা সেতু। এই সেতুর দৈর্ঘ্য ৭০২.৩২ মিটার। সবচেয়ে ছোট চার সেতু খাগড়াছড়িতে। সেতুগুলো হলো তবলছড়ি সেতু, তাইন্দং সেতু, কৃষি গবেষণা সেতু ও হাতিমারাছড়া সেতু। প্রতিটি সেতুর দৈর্ঘ্য ১৬.৫৯ মিটার করে।

জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, একেক সেতুর গুরুত্ব একেক রকম। যেমন : সিলেটে নতুন সেতু হওয়ার ফলে ঢাকার সঙ্গে দূরত্ব কমবে ৩৯ কিলোমিটার। চট্টগ্রামে একটি নতুন সেতুর ফলে আগের কর্ণফুলী সেতুর ওপর চাপ কমবে। আরেকটি সেতুর জন্য বঙ্গবন্ধু টানেলের সঙ্গে কক্সবাজারের দূরত্ব কমবে। রংপুরে স্থলবন্দরের সঙ্গে একটি সেতু যুক্ত হবে। এভাবে সব সেতুই যোগাযোগে নতুন ভূমিকা রাখবে।

সওজ সূত্রে জানা যায়, সংস্থাটির অধীনে বর্তমানে দেশে ২২ হাজার ৪৭৬ কিলোমিটার সড়ক নেটওয়ার্কের মধ্যে ১৩ হাজার ৮০০টি কালভার্ট ও সাড়ে চার হাজার সেতু রয়েছে। এই সড়ক নেটওয়ার্কের মধ্যে তিন হাজার ৯৯১ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক, চার হাজার ৮৯৭ কিলোমিটার আঞ্চলিক সড়ক ও ১৩ হাজার ৫৮৮ কিলোমিটার জেলা সড়ক রয়েছে।

১০০ সেতুর উদ্বোধন প্রসঙ্গে সওজ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম মনির হোসেন পাঠান বলেন, ‘এসব সেতুর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে যোগাযোগব্যবস্থা আরো উন্নত হবে। অনেক দুর্গম জায়গা সহজে মূল জনপদের সঙ্গে মিশে যাবে। আবার অনেক সেতু আছে যেগুলো দৈর্ঘ্যে ছোট হলেও গুরুত্ব অনেক বেশি।

উদ্বোধনযোগ্য ১০০ সেতুর তালিকার সারসংক্ষেপ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগের দুই সেতুর মধ্যে একটির দৈর্ঘ্য ১০৩.৪৩ মিটার, আরেকটির দৈর্ঘ্য ৮৫.১৫ মিটার। এই দুই সেতু নির্মাণে খরচ হয়েছে ৫৬ কোটি ৮৫ লাখ ৫২ হাজার টাকা। ময়মনসিংহের ছয় সেতুর দৈর্ঘ্য ৪৯৪.১১ মিটার। এতে ব্যয় হয়েছে ৭৭ কোটি ৮৬ লাখ ৪১ হাজার টাকা। চট্টগ্রাম বিভাগের ৪৫টি সেতুর মোট দৈর্ঘ্য এক হাজার ৯০৭.৬১ মিটার। সর্বনিম্ন দৈর্ঘ্যের চারটি সেতু চট্টগ্রামের খাগড়াছড়িতে অবস্থিত। এসব সেতু নির্মাণে খরচ হয়েছে ২৩৮ কোটি ২৪ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। কুমিল্লায় একটি সেতু তৈরিতেই খরচ হয়েছে ১১ কোটি ৯৫ হাজার টাকা।

সিলেটের ১৭টি সেতুর মোট দৈর্ঘ্য এক হাজার ৫৮৭.১৮ মিটার। সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্যের সেতুটি সিলেটের সুনামগঞ্জে। এই ১৭ সেতুর নির্মাণ ব্যয় ২৯০ কোটি ৭০ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। গোপালগঞ্জে ২১৮.৫৭ মিটার দৈর্ঘ্যের পাঁচ সেতু নির্মাণে খরচ হয়েছে ৩২ কোটি ৫১ লাখ ৬৯ হাজার টাকা। বরিশালে ১৪ সেতুর মোট দৈর্ঘ্য ৫৫৮.৮০ মিটার। এতে খরচ করতে হয়েছে ৯৬ কোটি ৬৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রাজশাহীর পাঁচ সেতুর মোট দৈর্ঘ্য ১৭৬.৯০ মিটার। এসব সেতু তৈরিতে খরচ হয়েছে ২৮ কোটি ৪৮ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। আর রংপুরের ৩০১.৬৪ মিটার দৈর্ঘ্যের মোট পাঁচ সেতু তৈরিরে খরচ হয়েছে ৪৭ কোটি ২৯ লাখ ৫৯ হাজার টাকা।

এই ১০০ সেতুর মধ্য সীমান্ত ও দুর্গম পাহাড়ি এলাকাও রয়েছে। বেশির ভাগ সেতুই স্থানীয় এলাকার নামে নামকরণ করা হয়েছে। এসব সেতু এক প্রকল্পের অধীনে নির্মাণ করা হয়নি। বেশির ভাগ সেতুর দৈর্ঘ্য ছোট হওয়ায় তাতে মাত্র একটি স্প্যান বসেছে। এক স্প্যানের সেতুর সংখ্যা ৬৯টি। সবচেয়ে বড় রানীগঞ্জ কুশিয়ারা সেতুতে ১৫টি স্প্যান রয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট

Theme Customized BY LatestNews