কেন্দ্রীয় কর্মসূচী অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতি বগুড়া জেলা অন্তর্গত শেরপুর উপজেলা মির্জাপুর ইউনিয়নের দড়িমুকুন্দ গ্রাম কমিটির উদ্যোগে হাত সভা সমাবেশ গ্রাম কমিটির সভাপতি মোঃ রমজান শেখের সভাপতি অনুষ্ঠিত হয় ।
সমাবেশ প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি বগুড়া জেলা কমিটি বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক ৯০ স্বৈরাচার আন্দোলনের রাজপথের সাহসী সৈনিক কমরেড আমিনুল ফরিদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ক্ষেত মজুর সমিতি বগুড়া জেলা কমিটি সাধারণ সম্পাদক শ্রী কান্ত মাহাতো ,বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতি বগুড়া জেলা কমিটির সদস্য ও সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি শুভ শংকর গুহ রায় বাবুন, বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতি বগুড়া জেলা কমিটি সদস্য ও সদর উপজেলা কমিটি সাধারণ সম্পাদক সোহাগ মোল্লা,
আরো বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতি বগুড়া জেলা কমিটি সদস্য ও শেরপুর উপজেলা কমিটি সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা নিমাই ঘোষ , আঃ রশিদ,কমল শিং, সোহাগ শেখ, জাহিদুল ইসলাম বাবু ক্ষেতমজুর নেএী আমেনা বেগম প্রমুখ। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতি গ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাদ্দাম হোসেন।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, গ্রামের ক্ষেতমজুরেরা গ্রামের সারা বছর কাজ না থাকায় তাহাদের শহরের নানা কাজে সঙ্গে যুক্ত হতে হয়, কিন্তু দেখা যাচ্ছে নতুন এলাকায় কাজ করতে গিয়ে তারা নানা নির্যাতন শোষণের শিকার হয়েছেন, কর্ম পরিবেশ না থাকায় দুর্ঘটনায় অনেকে মৃত্যুবরণ করছেন, ইদানিং ইটভাটা ও পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে অনেকে নিহত হয়েছেন তাদের সকলে গরিব মেহনতী মানুষ, গ্রাম্য অঞ্চলে ক্ষেতমজুর সহ গ্রামীণ মজুররা তাদের শ শ্রমের এর মধ্য দিয়ে যা উপার্জন করেন তা পরিবারে খাদ্যের নিশ্চয়তা জন্য ব্যয় হয়ে যায় ,ফলে পরিবারের সন্তানদের শিক্ষা ও তাদের চিকিৎসা কোন ব্যবস্থা হয় না,তাই এই গ্রামীণ মজুদদের শিক্ষা ও চিকিৎসা দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে। গ্রামাঞ্চলে প্রায় সকল মানুষ ঋণের জর্জরিত,তারা এক এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে অন্য এনজিও থেকে তাপরিশোষ করে,ক্রমে ঋণের জালে জড়িত হয়ে পড়ছে, খাই খালাসী ধরনের আইন করে এনজিও ঋণের অত্যাচার থেকে গ্রামে এসব অসহায় মানুষকে মুক্ত করতে হবে,পৃথিবীর সকল দেশে বয়স্ক নাগরিকদের সম্মানের সাথে দেখা হয় ও অসুবিধা দেয়া হয়, কিন্তু আমাদের দেশে বয়স্ক নাগরিকেরা পরিবারে বোঝা হয়ে যায়, তাদের কর্ম দক্ষতা না থাকায় আয় করতে পারে না, ফলে পরিবার এবং সামাজিক ভাবে তাদের সম্মান বিনষ্ট হয় তাদের জীবন দূর্বিসহ হয়ে পড়ে ,অথচ তাদের কর্মক্ষম সময়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে এসেছে তাই বয়স্ক নাগরিকদের জন্য অবিলম্বে পেনশন স্কিম চালু করে তাদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক মর্যাদা নিশ্চিত করা আহ্বান জানান।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্য আরো বলেন, নৌকা পাল্লা ধানের শীষ সব সাপের একই বিষ তফাৎ শুধু ১৯ আর ২০ এদের দিয়ে জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করা আশা করা যায় না , কমিউনিস্ট পার্টির একমাত্রপার্টি ,শোষণে হাত থেকে মুক্তি একমাত্র পথ সমাজতন্ত্র।
বিশেষ অতিথিবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বলেন, চাল ডাল আটা চিনি তেল সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের বর্তমানে দেশে রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে, সাধারণ মানুষের ক্রয় সীমানায় বাইরে চলে গিয়েছে, গ্রামীণ কর্মসূচি ও প্রকল্প দুর্নীতি অনিয়ম লুটপাট বন্ধ, পল্লী রেশনে চালু করে দেশের সকল উপজেলায় ১০০ জনের কর্মসৃজন কর্মসূচি চালু, শ্রমিকের সংখ্যা ও মজুরি বৃদ্ধি করা সহ বিনামূল্য শিক্ষা চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত কর নারীদের সমকাজে সমমসমমজুরি নিশ্চয়তা সামাজিক নিরাপত্তা ও সম্মান নিশ্চিত কর, খাই খালাসি ধরনের আইন করে এনজি ঋণ মওকুফ মজুদদের জন্য সরকারের ব্যবস্থাপনায় এক অঙ্কের সুদেআমানতবিহীন ঋণ চালু করা ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার প্রতিষ্ঠা গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষাসহ ক্ষেতমজুরদের ১০দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। সমাবেশের শেষে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতি সদস্যদের সদস্য কার্ড বিতরণ করেন।