“আত্মকাহন”
-ছায়েরা খুকু
পর্ব-০৪
আমি তার দিকে চেয়ে রইলাম আর ভাবতে লাগলাম, এত সুন্দর একটা নিষ্পাপ মেয়ের জীবনে এত কিছু! না জানি সামনে আরো কত কাহিনি! সে আবার বলতে শুরু করল,
শীলাঃ এখানে প্রতিনিয়ত চলে আমার উপর মানসিক অত্যাচার স্বামী বেচারা ও রেহাই পাইনা। তার একমাত্র দোষ, সে ছিল তার বউয়ের একমাত্র শুভাকাঙ্ক্ষী। আমার জন্য শুভকামনা যে একদিন তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়াবে আমরা দুজন ঘুনাক্ষরেও টের পায়নি। মাঝখানে….
কথকঃ ও আল্লাহ আরো কত টুইস্ট আছেরে বন্ধু! সে বলল,শুনে যা,শুধু শুধু পকপক করিসনা বিয়ে পাগলা ছেমরি। আমি কৃত্রিম রাগ করে বললাম, অনেক বড় অপমান কিন্তু, সে একটু চাপা হেসে আবার শুরু করল,
শীলাঃ বিপুল তখন ব্যবসায় অনেক নাম পেতে শুরু করল তাই আমার শশুর তাকে ভরসা করে দায়িত্ব গুলো দিতে লাগলো কিন্তু বাধ সাধলো আমার শাশুড়ী ও ননদ। দিনে রাতে বিপুলের নামে কান ভারি করতে লাগলো,তাদের কথা বিহান (আমার দেবর) এর কি হবে? বিপুল তাকে সবকিছু থেকে বঞ্চিত করবে।তাই তিনি ( আমার শশুর)থাকাকালীন সবকিছু যেন আমার শাশুড়ির নামে লিখে দেয়। তিনিও তাই করলেন। এবার শুরু হলো আমার উপর মানসিক প্রহার।পান থেকে চুন খসলে শুরু হতো বাপের বাড়ির কথা নিয়ে খোঁটা, সহ্য হতোনা আমার।বিপুলকেও কিছু বলতে চাইতামনা কারন সে আসতো অনেক রাত করে।অনেক ক্লান্ত দেখাতো তাকে। মুলত কোনো কথা বলার সময়ও হয়ে উঠতনা।সে মাঝে মাঝ আমাকে উদাস দেখলে জিঙ্গেস করত, কিন্তু কিসের যেন এক চাপা অভিমান আমাকে পেয়ে বসতো তাই তাকে কিছু বলতামনা। মন চাইতো স্বামী, সংসার সব ত্যাগ করি।তা কেমন করে হয় আমার কাছেতো কিন্তু রয়ে গেছে আমার সন্তান ও তার পিতা।তারা ছিল আমার সবকিছু তাই মা ও আমার পরিবার আমার জন্য ভালো কিছু বললেও আমার খারাপ লাগতো।এইদিকে বিপুল হঠাৎ একদিন সিন্ধান্ত নিল সে আমাদেরকে নিয়ে আলাদা হয়ে যাবে।আমার শাশুড়ী তখন তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলো যেন! চিল্লিয়ে সব মানুষ এক জায়গায় করলো উদ্দেশ্য আমাকে অপদস্ত করা। তাঁর কথা আমি বিপুলকে তাবিজ দোয়া করেছি,তাই তাঁর ছেলে আজ আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেকি কান্নাকাটি জুড়ে দিল! ছেলেকে অভিশাপ দিতে শুরু করল।মাঝখানে আমি বললাম….
কথকঃ হায়! হায়! স্বামী সংসার! না না আমি বিয়ে করবোনা। সে বলল,শুনেন বান্ধবী আপনার জন্য আরো অনেক টুইস্ট অপেক্ষা করছে।তো বন্ধুরা জানতে হলে অপেক্ষায় থাকুন। আর ভালো মন্দ কমেন্ট করবেন প্লিজ প্লিজ প্লিজ। (চলবে)