আজ বৃহস্পতিবার সেইন্ট বাংলাদেশ এবং গণসাক্ষরতা অভিযান এর যৌথ আয়োজনে বরিশালের বাকেরগঞ্জ পৌরসভার সেমিনার হলে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু প্রতিরোধ বিষয়ক আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত আঞ্চলিক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশালের বাকেরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়া। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “ অসুখ না কিন্তু পানিতে ডুবেই পরিসংখ্যানে আমরা দেখছি প্রতিদিন বাংলাদেশে গড়ে ৫০ জন মারা যাচ্ছে যাঁর মধ্যে ৩০ জনই শিশু। নিজেদের শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে নিজেদের যার যার জায়গা থেকে দায়িত্বশীল হতে হবে সচেতন হতে হবে। পানিতে ডুবে শিশুদের মৃত্যু ঝুঁকি কমিয়ে আনতে প্রয়োজন আমাদের সামান্য উদ্যোগ, আপনার আমার সবার ঘরেই শিশু রয়েছে এটা মনে রাখতে হবে।”
কর্মশালা উপলক্ষ্যে সমাপনী আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সেইন্ট বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক কাজী জাহাঙ্গীর কবির। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রঙ্গশ্রী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বশির হোসেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর মেডিকেল অফিসার ডাঃ মাসরুর হালিম, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার বেলায়েত হোসেন, গণসাক্ষরতা অভিযানের প্রোগ্রাম অফিসার সিজুল ইসলাম, সেইন্ট বাংলাদেশ এর বাকেরগঞ্জ উপজেলার প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর গোপাল চন্দ্র শীল।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সেইন্ট বাংলাদেশ এর উপ-পরিচালক আহসান মুরাদ চৌধূরী। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গণসাক্ষরতা অভিযান এর কো-রিসার্চার আব্দুল কুদ্দুস প্রিন্স। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সেইন্ট বাংলাদেশ বাকেরগঞ্জ এর প্রজেক্ট অফিসার লীনা হেলেনা গোমেজ।
উক্ত কর্মশালায় কমিউনিটি, শিক্ষক, এনজিও প্রতিনিধি, মিডিয়া, যুব প্রতিনিধি, ভুক্তভোগী অভিভাবক এবং সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাসহ প্রায় ৬০ জন অংশগ্রহণ করেন। উপস্থিত অংশগ্রহণকারীরা ছয়টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু প্রতিরোধে বিদ্যমান সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ, করণীয় এবং কার কি দায়িত্ব তা লিখে অতিথিদের সামনে উপস্থাপন করেন। উল্লেখ্য মিডিয়া নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘সমষ্টি’ এর মিডিয়া মনিটরিং রিপোর্ট অনুযায়ী বরিশাল বিভাগে ২০২২ সালের ০১ জানুয়ারি থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত পানিতে ডুবে মৃত্যুর শিকার ১১৯ জন, বরিশাল জেলায় ২৯ জন এবং ২০২১ সালে বরিশাল বিভাগে ১৩৫ জন ও বরিশাল জেলায় ৩১ জন। তবে বাস্তব চিত্র এর চেয়েও কয়েকগুণ বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের।