ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তির মামলায় রাজবাড়ী জেলা মহিলা দলের সদস্য সোনিয়া আক্তার স্মৃতির জামিন স্থগিতই থাকছে। হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের লিভটু আপিল মুলতবি রাখলেও চেম্বার আদালতের জামিন স্থগিতের আদেশে হস্তক্ষেপ করেননি সর্বোচ্চ আদালত।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেন। ফলে আপাতত মুক্তি মিলছে না স্মৃতির।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ। আসামির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী কায়সার কামাল ও রুহুল কুদ্দুস কাজল।
আইনজীবী কায়সার কামাল বলেন, ‘সোনিয়া স্মৃতিকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রাখতে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু চেম্বার আদালতের জামিন স্থগিতের আদেশে হস্তক্ষেপ করেননি আপিল বিভাগ। আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত আবেদনটি শুনানির জন্য রেখেছেন। সে পর্যন্ত স্মৃতির জামিন স্থগিত থাকছে এবং তার মুক্তি মিলছে না। ’
গত ৩১ অক্টোবর বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের বেঞ্চ স্মৃতিকে জামিন দেন। পরে এ জামিন স্থগিত চেয়ে চেম্বার আদালতে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। সে আবেদনের শুনানির পর গত ২ নভেম্বর হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করে। এর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ জামিন আদেশের বিরুদ্ধে লিভটু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে। সেটিই আজ আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে।
গত ৩১ আগস্ট ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তি করে অবমাননাকর পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে গত ৫ অক্টোবর রাজবাড়ী সদর থানায় সোনিয়া আক্তার স্মৃতির বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলা করেন জেলা বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সদস্য সচিব এবং মিজানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আরিফিন চৌধুরী। ওই রাতেই রাজবাড়ী শহরের সজ্জনকান্দা, বেড়াডাঙ্গা ৩ নম্বর সড়কের ভাড়া বাসা থেকে স্মৃতিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সোনিয়া আক্তার স্মৃতি রাজবাড়ী ব্লাড ডোনার্স ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও জেলা মহিলা দলের সদস্য। তিনি রাজবাড়ী পৌরসভার ৩ নম্বর বেড়াডাঙ্গা এলাকার প্রবাসী মো. খোকনের স্ত্রী।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট