ঢাকায় আজ বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে নাশকতার আশঙ্কায় সমাবেশস্থল গোলাপবাগ মাঠ, নয়াপল্টন, বায়তুল মোকাররমসহ নগরের গলি, সড়কপথে অন্তত ২০ হাজার পুলিশ ও র্যাবের সশস্ত্র সতর্ক পাহারা বসানো হয়েছে। তাদের সহযোগিতা করতে গোয়েন্দা পুলিশের পাশাপাশি অন্তত পাঁচ হাজার আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। রাজধানীর প্রবেশপথসহ প্রধান সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করছে র্যাব ও পুলিশ।
এ ছাড়া বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে কেউ যাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়াতে না পারে, সে জন্য র্যাব-পুলিশ ছাড়াও একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার বিশেষজ্ঞ টিম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাইবার প্যাট্রলিং (নজরদারি) শুরু করেছে।
বিএনপির কর্মসূচি ঘিরে সরকার ও পুলিশকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারে—এ আশঙ্কাতেই এই সতর্কতা।
এসব তথ্য জানিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর বিএনপি সমাবেশকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ করতে রাজধানীজুড়ে বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ’
নিরাপত্তা প্রস্তুতি সম্পর্কে শীর্ষ এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপি সরকারকে বিপাকে ফেলতে নানা পরিকল্পনা নিয়েছে বলে তাদের কাছে আগাম গোয়েন্দা তথ্য আছে। বিশেষ করে ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা যেভাবে অবস্থান নিয়েছিলেন তেমন পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের। সে সময় তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে যে ধরনের নিরাপত্তা প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল, বিএনপির সমাবেশ ঘিরে সেই প্রস্তুতিও থাকবে পুলিশের।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট