রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ মানবাধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। শনিবার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, আমি আশা করি মানবাধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় ভুক্তভোগীদের প্রতিকার পাওয়ার পথ সুগম করতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
আবদুল হামিদ বলেন, মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার ২০০৯ সালে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন প্রতিষ্ঠা করে।
মানবাধিকার সুরক্ষায় জনগণকে সচেতন করার পাশাপাশি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় ভুক্তভোগীদের ক্ষতিপূরণ প্রদান ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতে কমিশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
জনসাধারণ যেন তাদের অধিকার সম্পর্কে আরও বেশি সচেতন হতে পারে এবং কমিশনের কাছ থেকে সহায়তা পেতে পারে, সে লক্ষ্যে কমিশনকে তৃণমূল পর্যায় থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত সামগ্রিক কার্যক্রম আরও জোরদার করার জন্যও তিনি আহ্বান জানান।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উদ্যোগে ‘মানবাধিকার দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করেন আবদুল হামিদ।
তিনি উল্লেখ করেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সাম্য, ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ১৯৭২ সালের সংবিধানে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সকল মানবাধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়।
রাষ্ট্রপতি বলেন, আমরা গর্বিত জাতি এজন্য যে আমাদের সংবিধান জাতিসংঘের ঘোষিত সার্বজনীন মানবাধিকারের সঙ্গে পুরোপুরি সঙ্গতিপূর্ণ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট