চীনে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত কড়াকড়ির বিরুদ্ধে বিক্ষোভের জেরে রোগটিতে মৃত্যুর হিসাব রাখার নতুন উপায় বের করা হয়েছে। যারা নিউমোনিয়ার মতো শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতায় মারা যাচ্ছে, কেবল তাদের করোনায় মৃত হিসেবে শনাক্ত করা হচ্ছে।
চীনের সরকারি হিসাব অনুসারে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার পাঁচজনের প্রাণহানি ঘটেছে। এর আগের দিন সোমবার দুজন মারা গেছে এবং তার আগে দুই সপ্তাহে কারো প্রাণহানির খবর দেওয়া হয়নি।
চীনে করোনার বাড়বাড়ন্তে উদ্বেগে রয়েছে ভারত। আবার এই ভাইরাসের তাণ্ডব শুরু হবে না কি, তা নিয়ে বেশ ধন্ধে রয়েছে দেশটি। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার শুরু থেকেই পরিকল্পনা করে ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছে নরেন্দ্র মোদির প্রশাসন।
এরই মধ্যে সমস্ত রাজ্যকে কী কী করতে হবে, তার বিস্তারিত নির্দেশিকা পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য মহামারি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য শীর্ষ কর্মকর্তা এবং বিশেষজ্ঞদের নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে বসতে চলেছেন।
চীনের পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার সমস্ত রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে, তারা যেন করোনাভাইরাসের সন্ধান পেলেই নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিং-এর জন্য পাঠায় ‘ইনসাকগে’।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ‘ইনসাকগ’ ভারতে করোনার বিভিন্ন প্রজাতি (স্ট্রেন) নিয়ে নিয়মিত চর্চা ও গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ সব রাজ্যকে যে নির্দেশনা পাঠিয়েছেন, তাতে বলা হয়েছে- জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া, ব্রাজিল ও চীনে আচমকা করোনা বাড়বাড়ন্তের নিরিখে রাজ্যে রাজ্যে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের প্রক্রিয়া আরও দ্রুতগামী করতে হবে। যাতে করোনার রূপ (ভ্যারিয়েন্ট) এবং তার অগ্রগতি সম্পর্কে বিশদ ধারণা তৈরি করে রাখা সম্ভব হয়। আগামী দিনে নতুন কোনো রূপ বা প্রজাতি ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই যাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে রাখা যায়।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট