বিএনপি ঘোষিত ২৭ দফার ‘রেইনবো নেশন’ গড়ার প্রস্তাবকে যুদ্ধাপরাধী, জঙ্গিদের সঙ্গে ঐক্যের কালো দলিল বলে আখ্যায়িত করেছেন ১৪ দলের শীর্ষ নেতারা। তারা বলেন, রেইনবো নেশনের অর্থ হচ্ছে একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও পচাত্তরের খুনি অপরাধীদের আরেক দফা রাষ্ট্র ও সমাজের স্বীকৃতিদান। যারা বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করছেন তারা কোনোভাবেই প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক শক্তি নন।
আজ বুধবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে ১৪ দলের শীর্ষ নেতারা এমন মন্তব্য করেন।
রাজধানীর ইস্কাটনে ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমুর বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও কামরুল ইসলাম, তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারি, ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন ও বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খান প্রমুখ।
১৪ দলের মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেন, রাষ্ট্র ও জনগণের বিরুদ্ধে বিএনপির রাজনীতি জনগণ অতীতে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। এবারও করবে। তাদের সঙ্গে যারা যুগপৎ আন্দোলনে শরীক হয়েছে তারা আমাদের অজানা নয়। খুবই ক্ষুদ্র স্বার্থে এক হয়েছেন। বিএনপি বর্তমান সরকারের মৌলিক সংশোধনের কথা বলে অসাংবিধানিক পন্থায় ক্ষমতা দখলকে নিষ্কণ্টক করতে চায়।
বিএনপির সঙ্গে কয়েকটি দলের যুগপৎ আন্দোলন প্রসঙ্গে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চেতনায় বিশ্বাসী বা প্রগতিশীল হলে জামায়াতের সঙ্গে তারা যুগপৎ আন্দোলন করত না। যারা যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের ঘোষণা দেয় তারা প্রগতির ধারার মধ্যে আছে বলে মনে করি না।
জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘রেইনবো নেশন হলো রাজাকার, জঙ্গি, জামায়াত ও যুদ্ধাপরাধীদের ঐক্যের কালো দলিল। এই কালো দলিল যারা সমর্থন করছে তারা আর যাই হোক বাম বা প্রগতিশীল ঘরানার লোক হতে পারে না। তারা বিচ্যুৎ। ২৭ দফা ও ১০ দফা কার্যত বাহাত্তরের সংবিধানকে বানচাল করার সুকৌশল প্রস্তাব। যারা এটা সমর্থন করে তারা গণতান্ত্রিকও না, প্রগতিশীলও না। জামায়াত, জঙ্গি, যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে রাজনৈতিক পার্টনারশিপ থাকবে ততদিন পর্যন্ত ২৭ কেন, ২৭০ দফা দিলেও তা আমলযোগ্য নয়।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট