অভিনেত্রী রুনা খান ১০৫ কেজি থেকে ৩৬ কেজি ওজন কমিয়ে এখন আলোচনায়। ৩৬ কেজি ওজন কমাতে অভিনেত্রীর লেগেছে মাত্র এক বছর।
যদিও জানা যায়, এর পেছনে ১০ বছরের প্রস্তুতি ছিল। মেদহীন শরীর নিয়ে রুনা এখন বেশ ব্যস্ত ফটোশুটে। নানা রংবেরঙের ছবি ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে ঘুরছে।
রুনা খান গিয়েছিলেন মালদ্বীপে। সেখানে নীল জলরাশিতে নিজেকে নতুন করে জানান দিচ্ছেন, প্রকাশ করছেন নতুনভাবে। মালদ্বীপেরর বেশ কিছু ছবি নেটিজেনদের মনে ধরেছে। সেসবে তারা প্রতিক্রিয়াও জানাচ্ছেন, জুড়ে দিচ্ছেন হৃদয়ের ইমোজি।
ওজন কমানো প্রসঙ্গে রুনা খান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘জার্নিটা আসলে এক বছরের। এক বছরে আমি একটি পয়সাও ওজন কমানোর পেছনে খরচ করিনি। আমার বাড়িতে প্রতিদিন যে স্বাভাবিক খাবার রান্না হয়, সেখান থেকে পরিমিত খাবার খেয়েছি। সপ্তাহে এক দিন পোলাও অথবা তেহারি খাই। খুব ভালো লাগে। পছন্দের খাবার। এক বেলা এসব খাবার খেলেও বাকি দুই বেলা রুটিনের খাবারই থাকে।
’তিনি আরো বলেন, ‘আমি আমার বাসার-শোবারঘর থেকে ড্রয়িংরুম পর্যন্ত প্রতিদিন নিয়ম করে এক ঘণ্টা হাঁটতাম। রাতে এক ঘণ্টা ইয়োগা করি। রাত ১২টা কিংবা ১টার মধ্যে ঘুমিয়ে যাই, সাত-আট ঘণ্টা ঘুমাই। গত ১০ বছরে এসব পারিনি। আমার কাছে পৃথিবীর একদম সহজ উপায়। সহজ কাজটা এক বছর ধরে করতে পেরেছি। গত বুধবার পর্যন্ত ৩৯ কেজি ওজন কমাতে পেরেছি। ’
রুনা খান টাঙ্গাইলের সখীপুরে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব কাটে টাঙ্গাইল শহরে। ১৯৯৮ সালে তিনি ঢাকায় আসেন। তার পিতা ফরহাদ খান ছিলেন একজন সরকারি চাকরিজীবী। মা আনোয়ারা খান। রিনা খান তার পিতা-মাতার জ্যেষ্ঠ সন্তান।
তার স্বামীর নাম এষণ ওয়াহিদ। তাদের একমাত্র কন্যার নাম রাজেশ্বরী। তিনি টাঙ্গাইলের একটি স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে ইডেন কলেজ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করেন।
২০১৬ সালে নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের নাম গোত্রহীন মঞ্চনাটকের মঞ্চায়নে তিনি অপি করিমের স্থলাভিষিক্ত হন। পাকিস্তানি লেখক সাদাত হাসান মান্টোর তিনটি ছোটগল্প অবলম্বনে নাটকটির চিত্রনাট্য রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন ঊষা গাঙ্গুলি। এ ছাড়া তিনি আসাদুজ্জামান নূর নির্দেশিত নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের ‘দেওয়ান গাজীর কিসসা’ মঞ্চনাটকে অভিনয় করেন।
সম্প্রতি অমিতাভ রেজা চৌধুরীর নতুন ওয়েব সিরিজ ‘বোধ’-এ রুনার ‘দীপ্তি’ চরিত্রটি ব্যাপক প্রশংসিত হয়। দীর্ঘ ১৪ বছর পর অমিতাভের পরিচালনায় কাজ করেন রুনা খান।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট