মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ছাত্র ইউনিয়ন বগুড়ার বিজয় দিবস এর আলোচনা এবং এসএসসি ও সমমান পরিক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেলা ১১ টায় বগুড়ার ঐতিহাসিক সাতমাথায় অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক তামজীদ হায়দার চৌধুরী।
উদ্বোধন শেষে মুজিব মঞ্চে সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। মুজিব মঞ্চে আলোচনা শেষে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি উডবার্ন পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এসে শেষ হয় এবং সেখানে আলোচনা শেষে বগুড়া জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
ছাত্র ইউনিয়ন বগুড়ার সভাপতি ছাব্বির আহম্মেদ রাজ এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক বায়েজিদ রহমান এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে আলোচনা করেন ছাত্র ইউনিয়ন বগুড়া জেলার সাবেক সভাপতি ও সিপিবি বগুড়া জেলার সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ফরিদ, ছাত্র ইউনিয়ন বগুড়া জেলার সাবেক সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট মোঃ লুৎফর রহমান, সাইদুর রহমান পারভেজ, সোনাতলা উপজেলা সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি সোহেল আহমেদ খান, ছাত্র ইউনিয়ন বগুড়া জেলা সংসদের সাবেক সভাপতি নাদিম মাহমুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সহ-সভাপতি মেঘমল্লার বসু প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, “আমরা বিজয়ের ৫২ তম বর্ষে পদার্পন করেছি। কিন্ত এতো বছর পরো এখন দেশবাসী অনুভব করছে কাঙ্ক্ষিত বিজয় এখনও বহুদূর। যে স্বপ্ন ও আশা নিয়ে এদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ মুক্তিযুদ্ধ করেছিল, ন্যাপ-কমিউনিস্ট-ছাত্র ইউনিয়ন গেরিলা বাহিনীর প্রায় ২২ হাজার যোদ্ধা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল সে স্বপ্ন এখনো পূরণ হয়নি। একই ধারার বিজ্ঞানভিত্তিক গণমুখী শিক্ষাব্যবস্থা প্রণীত হয়নি। শিক্ষাকে বাণিজ্যিকীকরণ করা হয়েছে, নতুন শিক্ষানীতির মাধ্যমে বিজ্ঞান শিক্ষাকে সংকুচিত করার প্রচেষ্টা চলছে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির পাশাপাশি শিক্ষাসামগ্রীর উর্ধ্বগতি শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবককে বিপাকে ফেলেছে। বিজয়ের এতো বছর পরও আমরা রাজাকারের সঠিক তালিকা দেখতে পাই না। মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা বাড়ে আর কমে। তাছাড়া বীর শহীদদের স্মৃতি বিজরিত স্মৃতির দেয়াল গুলো আজ জরাজীর্ণ। অনেকগুলোর আজ অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না। স্বাধীনতার বছর পরেও দেশে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধ হয়নি। বিজয় দিবসে আমরা দাবি জানাই দেশে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হোক এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিযুক্ত জায়গাগুলো সরকারিভাবে সংরক্ষণের দাবি জানান।”