প্রায় সাড়ে ৩১ লাখ একক কনটেইনার ওঠানামা দিয়ে ২০২২ সাল শেষ করেছে চট্টগ্রাম বন্দর। আগের বছরের তুলনায় ২ শতাংশ কনটেইনার ওঠানামা কমেছে এই বন্দরে। আর খোলা পণ্য ওঠানামা বেড়েছে আড়াই শতাংশ। এর মধ্য দিয়ে জাহাজজট ছাড়াই নতুন বছর শুরু করল এই সমুদ্রবন্দর।,
তাহলে কি বন্দরে পণ্য ওঠানামা কমেছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘পণ্য ওঠানামা কমেছে কি না সেটি জানতে মাসের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। আর জেটি ফাঁকা থাকার মূল কারণ হচ্ছে, পণ্য ওঠানামায় বন্দরের দক্ষতা বৃদ্ধি। দ্রুততম সময়ে জাহাজে পণ্য ওঠানামা শেষ করায় বেশি জাহাজ ভেড়ানো সম্ভব হচ্ছে। আর এতে কনটেইনার জাহাজকে অপেক্ষমাণ থাকতে হচ্ছে না। ’,
তিনি বলেন, কনটেইনার জাহাজ চট্টগ্রামে আসার একটা প্রবাহ থাকে; কখনো একসঙ্গে বেশ কয়েকটি জাহাজ আসে, আবার কখনো বহির্নোঙর ফাঁকা থাকে। একই সঙ্গে খোলা পণ্যবাহী জেটি ফাঁকা থাকার মূল কারণ হচ্ছে অপ্রয়োজনীয় আমদানি কমে যাওয়া।
টার্মিনাল অপারেটর সাইফ পাওয়ারটেকের চিফ অপারেটিং অফিসার ক্যাপ্টেন তানভীর হোসাইন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘গত ছয় মাসে প্রতিটি কনটেইনার জাহাজ পণ্য নামিয়ে, রপ্তানি পণ্য উঠিয়ে ৪০ ঘণ্টার মধ্যে বন্দর ছেড়েছে। যেটি ছয় মাস আগে ছিল ৪৮ ঘণ্টা, এক বছর আগে ছিল ৬০ ঘণ্টারও বেশি।,
তিনি বলেন, আধুনিক যন্ত্রপাতি যোগ করে, বন্দরের নিজস্ব কৌশল প্রয়োগ করে পণ্য ওঠানামায় সময় অনেক কমিয়ে আনায় এই সুফল মিলছে। এ কারণে অনেকগুলো জাহাজ তাদের আগের শিডিউল ঠিক রাখতে পারছে না। ফলে জেটি ফাঁকা থাকছে। এর সুফল কিন্তু বন্দর ব্যবহারকারীরাই ভোগ করছেন।,
জানা গেছে, এক বছর আগেও একটি কনটেইনার জাহাজকে তিন দিন অর্থাৎ ৭২ ঘণ্টা অপেক্ষায় থেকেই বন্দর জেটিতে ঢুকতে হতো। বিদেশি শিপিং লাইনগুলো চট্টগ্রাম বন্দর অভিমুখে জাহাজ ভাড়া নিতে এই তিন দিন সময় বিবেচনায় নিয়েই হিসাব-নিকাশ করত। এখন তাদের অনেক সময় ও অর্থ সাশ্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর টার্মিনাল অপারেটর, বার্থ অপারেটর ও শিপ হ্যান্ডলিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মশিউল আলম স্বপন বলেন, ‘এখন চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজজট নিয়ে ব্যবহারকারীদের অভিযোগ নেই। পণ্য ওঠানামায় ব্যবহারকারীদের যে সাশ্রয় হচ্ছে সেই অর্থ অবশ্যই পণ্য উৎপাদন খরচে সাশ্রয় হচ্ছে।’,