হাতুরাসিংহে এক মেয়াদে কোচিং করিয়ে গেছেন। সাফল্যের কারণে নতুন কোচসংক্রান্ত আলোচনায় বারবার ঘুরেফিরে তাঁর নাম এসেছে। তবে সেসব আলোচনার ডালপালা আর গজায়নি। কিন্তু রাসেল ডমিঙ্গো চলে যাওয়ার পর প্রবলভাবে আলোচনায় ফিরে এসেছে হাতুরাসিংহের পুনর্নিয়োগ। নিজের পছন্দের কোচিং স্টাফ নিয়োগসংক্রান্ত শর্ত থেকে সরে দাঁড়ালে আবারও বাংলাদেশে ফিরবেন হাতুরাসিংহে।
এদিকে রাসেল ডমিঙ্গোর মেয়াদকালেই ভিন্ন পদ দিয়ে শ্রীরামকে টি-টোয়েন্টির খণ্ডকালীন কোচ করে আনে বিসিবি। বিসিবির পরিকল্পনায় শ্রীরামের চুক্তি নবায়নের ছক ছিল—তিনি মূলত টি-টোয়েন্টি দলেরই কোচ থাকবেন। তবে ব্যস্ত সূচির কারণে টেস্ট ও ওয়ানডে দলের কোচ বিশ্রাম চাইলে ওসব ফরম্যাটেও আপৎকালীন কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন শ্রীরাম। আবার এই ভারতীয় আইপিএলে দায়িত্ব পালনকালে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের খেলা থাকলে অন্য দুই সংস্করণের কোচ দল পরিচালনা করবেন। কিন্তু হাতুরাসিংহে ও শ্রীরামের সঙ্গে দেন-দরবারের পর ভাবনায় কিছু বদল এসেছে বিসিবির শীর্ষ মহলে।
প্রথমত, প্রধান কোচের পছন্দমাফিক কোচিং স্টাফ নিয়োগে আপত্তি আছে বিসিবির। অতীতে দেখা গেছে, কোচিং স্টাফরা একজোট হয়ে গেছেন। আবার আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এটাই রীতি যে প্রধান কোচ নিজের পছন্দে কোচিং স্টাফ সাজাবেন। কিন্তু বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী গতকাল জানিয়েছেন, ‘এমন কিছু কিন্তু চুক্তিতে থাকে না। বলতে পারেন, এটা একটা রীতি। তাই নতুন কোচের কথামতো কোচিং স্টাফ সাজাতে হবে, বিষয়টি তেমন না। আমাদেরও বলার জায়গা থাকবে।’
বিসিবির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা তাই বলেই ফেলেন, ‘কোচিং স্টাফ যে ছকেই হোক, হেড কোচ একজনই থাকবেন।’ সেই একজন চন্দ্রিকা হাতুরাসিংহের হওয়াটা একরকম নিশ্চিত। এটা গোপন কিছুু নয় যে ড্রেসিংরুমে একক কর্তৃত্বে বিশ্বাসী চন্দ্রিকা হাতুরাসিংহে। সেখানে কাউকে ভাগ দিতে রাজি নন তিনি। আর কোচ নিয়োগসংক্রান্ত আলোচনায় প্রভাব রাখতে পারেন, এমন ক্রিকেটাররাও নাকি হাতুরাসিংহের পক্ষেই ভোট দিয়েছেন। তাই সম্ভাবনার রেসে একেবারে পেছনের সারিতে শ্রীধরন শ্রীরাম।
প্রধান কোচের মতো পারফরম্যান্স ম্যানেজার নিয়োগেরও চূড়ান্ত পর্যায়ে বিসিবি। টম মুডির সঙ্গে এই পদে রিচার্ড পাইবাসের নামও আলোচিত হয়েছিল। কিন্তু এই দক্ষিণ আফ্রিকানের সঙ্গে বিসিবির পুরনো অভিজ্ঞতা আনন্দদায়ক নয়। বরং অস্ট্রেলিয়ার টম মুডি বেশি সময় দিতে পারবেন বলে বিশ্বাস বিসিবির, যাঁর কর্মসূচির পরিধি জাতীয় দলের হেড কোচের চেয়েও বেশি এবং গুরুত্বপূর্ণ। প্রগ্রাম ম্যানেজারের কাজ হবে জাতীয় দল থেকে ‘এসওএস’ পেলেই খেলোয়াড় সরবরাহ করা। তার মানে জাতীয় দলের হেড কোচের চেয়েও বেশিসংখ্যক ক্রিকেটারের ওপর নজরদারি করতে হবে তাঁকে।