শেরপুরের ভবানীপুরের ১ নং ওয়ার্ডের আম্বইলে এসএ গ্রুপ,মন্ডল গ্রুপ,আরিফ-বাচ্চু বাহিনী কর্তৃক তাদের ভাড়াটিয়া ভূমিদস্যুদের গ্রেফতারের দাবিতে এবং আদিবাসী ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক,ক্ষেতমজুর সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং বগুড়া জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্রীকান্ত মাহাতোসহ আরও ৩০/৩৫ জনের উপর হামলার প্রতিবাদে ক্ষেতমজুর সমিতি বগুড়া সদর উপজেলা কমিটির উদ্যোগে আজ বেলা ১১ টায় বগুড়ার ঐতিহাসিক সাতমাথায় বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বগুড়া সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি শুভ শংকর গুহ রায়ের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সোহাগ মোল্লার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ক্ষেতমজুর সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য লিয়াকত আলী কাক্কু, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি বগুড়া জেলা কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক হরিশংকর সাহা, সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য সাজেদুর রহমান ঝিলাম, কৃষক সমিতি বগুড়ার সভাপতি সন্তোষ পাল, টিইউসি বগুড়ার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফজলুর রহমান, ছাত্র ইউনিয়ন বগুড়া জেলা সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক জয় ভৌমিক। এছাড়া সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ বগুড়া জেলার রাজনৈতিক সম্পাদক কবি সুকুমার দাস।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, “বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের আম্বইল গ্রামে আদিবাসীদের চাষযোগ্য জমি দখলকে কেন্দ্র করে আদিবাসী পল্লীতে আদিবাসীদের উপর সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে এসএ গ্রপ ও মন্ডল গ্রুপের মদদপুষ্ট কিছু উগ্রপন্থি, ভূমিদস্যু, সন্ত্রাসী ও দুষ্কৃতিকারী। হামলায় এ পর্যন্ত মোট ৩০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতরা বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। বাংলাদেশ আদিবাসী ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক,ক্ষেতমজুর সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, বগুড়া জেলা কমিটির সাধারণ সাধারন সম্পাদক শ্রীকান্ত মাহাতো শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহতদের সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলে সেখানে তার উপর পুণরায় হামলা চালানো হয়েছে এবং তার সাথে থাকা জমির দলিল, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে।
গত ১ মাস যাবৎ আদিবাসীদের পৈতৃক ও খাসজমি থেকে উচ্ছেদ করার জন্য সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যুরা বিভিন্ন অপতৎপরতা চালাচ্ছে। এ অপতৎপরতার বিরুদ্ধে এবং আদিবাসীদের নিরাপত্তা চেয়ে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে এবং গত ৭ জানুয়ারি।
বক্তারা আরো বলেন, “বর্তমানে এলাকাবাসী স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারছে না, তাদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে, হামলা অব্যাহত আছে। এমনকি গতকাল হামলা করে ২ জনকে আহত করা হয়েছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং আদিবাসীদের নিরাপত্তা প্রদানের দাবি জানাচ্ছি। একইসাথে হামলার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার বিভাগীয় তদন্তের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। “