এর আগে স্থানীয়দের থেকে খবর পেয়ে মঙ্গলবার বিকেলে একটি ভ্রাম্যমান দোকান থেকে বইগুলো জব্দ করেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী। এরপর তিনি বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযুক্ত ওই প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত আয়েশা আক্তার উপজেলার কদমতলী রেজিষ্টার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও একই গ্রামের মৃত আব্দুল্লাহর স্ত্রী।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী বইগুলো জব্দ ও মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির বিভিন্ন বই জব্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত মোতাবেক তিনি বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় তদন্ত করে অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজরাতুন নাঈম বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে শিক্ষা কর্মকর্তা ও পুলিশ পাঠানো হয়। অভিযুক্ত শিক্ষক ও ভাঙ্গারী ব্যবসায়ীকে ইউএনও কার্যালয়ে ডাকা হয়। তাদের বক্তব্য গ্রহণ করে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
বুধবার সকালে শায়েস্তাগঞ্জ থানার ডিউটি অফিসার এএসআই মো. কবির হোসেন জানান, শুধুমাত্র প্রধান শিক্ষক আয়েশা আক্তারকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তাকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী সৈয়দ আলীকে আসামী করা না হলেও তাকে মামলায় স্বাক্ষী করা হয়েছে।