1. fauzursabit135@gmail.com : Fauzur Rahman Sabit : Fauzur Rahman Sabit
  2. sizulislam7@gmail.com : sizul islam : sizul islam
  3. mridha841@gmail.com : Sohel Khan : Sohel Khan
  4. multicare.net@gmail.com : অদেখা বিশ্ব :
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ১০:০৬ অপরাহ্ন

রামপালের পর কয়লাসংকটে এবার পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশিত: বুধবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০২৩
পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র
রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধের পর এবার কয়লাসংকটে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধের শঙ্কায় পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র। বৈদেশিক মুদ্রা ডলারের সংকটের কারণে লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) বা ঋণপত্র খুলতে পারছে না পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ। এ কারণে কয়লা আমদানিও করতে পারছে না। কেন্দ্রটির যে মজুদ রয়েছে সেটি দিয়ে আর মাত্র ১৫-২০ দিন উৎপাদন করা যাবে।

বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে গেলে শীতের মধ্যেই আবার লোড শেডিংয়ে পড়তে পারে দেশ। যদি বিদ্যুৎ উৎপাদন অব্যাহত রাখতে হয়, তবে আবার ব্যয়বহুল তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করতে হবে, যা জ্বালানি খাতের ব্যয়ের বোঝা আরো বাড়াবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

পটুয়াখালীতে অবস্থিত দুটি ইউনিটের এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির বর্তমানে ৬৬০ মেগাওয়াটের একটি ইউনিট থেকে উৎপাদন করা হচ্ছে। ৬৬০ মেগাওয়াটের অন্য ইউনিট রক্ষণাবেক্ষণের কারণে বন্ধ রয়েছে। আগামী ১৯ জানুয়ারি থেকে দ্বিতীয় ইউনিট চালু করা হবে বলেও বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্র জানিয়েছে।

বিদ্যুৎকেন্দ্রটি তৈরি করেছে বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কম্পানি (বিসিপিসিএল), চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশন (সিএমসি) এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কম্পানি লিমিটেডের (এনডাব্লিউপিজিসিএল) মধ্যে ৫০ঃ৫০ যৌথ উদ্যোগে।

পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, ডলার সংকটের কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক কয়লা আমদানির ঋণপত্র (এলসি) খুলতে দেরি করছে। এ কারণে কয়লা আমদানি না করতে পেরে কমছে কেন্দ্রটির মজুদ। বিসিপিসিএল কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এরই মধ্যে কয়লাসংকটের বিষয়টি বিদ্যুৎ বিভাগকে অবহিত করেছে।

জানতে চাইলে বিসিপিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বলেন, ‘আমাদের যে মজুদ রয়েছে সেটির মাধ্যমে মাত্র ১৫-২০ দিন বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালানো যাবে। এর মধ্যে যদি মজুদ বাড়াতে না পারি তাহলে কেন্দ্রটি চালু রাখা সম্ভব হবে না।’ ‘কেন্দ্রটি যাতে বন্ধ রাখতে না হয়, সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) কাছে আমাদের পাওনা আছে সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা। বিপিডিবি এই টাকা দেওয়ার চেষ্টা করছে।’

বিপিডিবির দায়িত্বরত কর্মকর্তারা বলছেন, অর্থ মন্ত্রণালয় তাদের ভর্তুকির টাকা দিচ্ছে না। এর কারণে তারা পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বকেয়া শোধ করতে পারছে না।

বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্র জানায়, পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি ইউনিটের মধ্যে একটি রক্ষণাবেক্ষণে থাকায় দৈনিক ছয় হাজার টন কয়লার প্রয়োজন হচ্ছে। রক্ষণাবেক্ষণ শেষে ১৯ জানুয়ারি থেকে ওই ইউনিট পূর্ণাঙ্গ উৎপাদনে যাবে। তখন প্রতিদিন ১০ হাজার টন কয়লার প্রয়োজন হবে। এদিকে কয়লা আমদানির জন্য ৭৫ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

দেশের সর্ববৃহৎ আলট্রা সুপারক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি গত বছরের ২১ মার্চ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটটি ২০২০ সালের মে মাসে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে। একই বছরের অক্টোবরে দ্বিতীয় ইউনিটটি বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে আল্ট্রা সুপারক্রিটিক্যাল টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়েছে, যা দক্ষিণ এশিয়ার তৃতীয় এবং সারা বিশ্বে ১১তম দেশ। এ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণে খরচ হয়েছে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ ছাড়া শুধু ভারতে এ ধরনের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট

Theme Customized BY LatestNews