1. fauzursabit135@gmail.com : Fauzur Rahman Sabit : Fauzur Rahman Sabit
  2. sizulislam7@gmail.com : sizul islam : sizul islam
  3. mridha841@gmail.com : Sohel Khan : Sohel Khan
  4. multicare.net@gmail.com : অদেখা বিশ্ব :
বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৩৬ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :

সুপারিশ-দাবি কোনো কিছুতেই বাতিল হয় না রুট পারমিট

নিজস্ব সংবাদদাতা
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২৩
রাজধানীতে চলাচলকারী ভিক্টর ক্লাসিক বাসের রুট পারমিট বাতিলের দাবি উঠেছে। প্রগতি সরণি এলাকায় বাসচাপায় শিক্ষার্থী নাদিয়া সুলতানার মৃত্যুর ঘটনায় গতকাল সোমবার সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থেকে এমন দাবি তোলা হয়।

এর আগে ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) অভিযানে ১৬৫টি বাসের রুট পারমিট বাতিলের সুপারিশ করা হয়। সেই তালিকায় ভিক্টর ক্লাসিকের নাম ছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেই সুপারিশ বাস্তবায়নের কোনো অগ্রগতি হয়নি।

রাজধানীর সদরঘাট থেকে টঙ্গী পর্যন্ত চলাচল করে ভিক্টর ক্লাসিক নামের বাস। এই পথে অনেকটা একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করেছে এই পরিবহন কম্পানিটি। একই পথে আকাশ পরিবহন নামেও একটি বাস চলাচল করে। এই দুই প্রতিষ্ঠানেরই ব্যবস্থাপনা পরিচালক একজন। নাম আশরাফুল ইসলাম। মূলত তিনিই এই দুই প্রতিষ্ঠানের মালিক।

গতকাল একাধিকবার আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হয়েছে। মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি সূত্র বলেছে, এই রুটে রাইদা, তুরাগ ও অনাবিল নামের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বাস চলাচল করে। তবে ওই সব কম্পানির বাস আংশিক রুট ভাগাভাগি করে। সদরঘাট থেকে টঙ্গী পর্যন্ত পুরো পথে শুধু ভিক্টর ক্লাসিক ও আকাশ পরিবহনের বাস চলে। এই দুই প্রতিষ্ঠানে বাস রয়েছে প্রায় ১৫০টি।

ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ভিক্টর ক্লাসিকের ওই বাসে চালক-হেলপারকে আইনের মাধ্যমে শাস্তি দেওয়া হবে। এর সঙ্গে বাসের রুট পারমিট বাতিলের কোনো সম্পর্ক নেই। রুট পারমিট বাতিল হলে মালিক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। একই অপরাধে দুইবার শাস্তি দেওয়া নিশ্চয়ই যৌক্তিক হবে না।’

বিআরটিএ সূত্র জানায়, ঢাকা ও চট্টগ্রামে ২০২১ সালের ৮ নভেম্বর শুরু হওয়া অভিযানের এক মাস পর ৮ ডিসেম্বর ১৬৫টি বাসের রুট পারমিট বাতিলের সুপারিশ করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে বলে বিআরটিএ। অভিযানে যেসব বাস অর্থদণ্ড দেওয়ার পরও একই অপরাধ একাধিকবার করেছিল সেসব বাসের রুট পারমিট বাতিল করতে বলা হয়।

বাসের রুট পারমিট বাতিলের সুপারিশ এত দিনেও কেন কার্যকর হচ্ছে না এমন প্রশ্নের জবাবে বিআরটিএর চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, প্রক্রিয়াটা যতটা সহজ আবার ঠিক ততটাই জটিল। বাসের রুট পারমিট বাতিলের এখতিয়ার রয়েছে আরটিসির (আঞ্চলিক পরিবহন কমিটি)। দীর্ঘদিন ধরে এই কমিটির কোনো বৈঠক হচ্ছে না। ফলে এ জাতীয় সুপারিশেরও কোনো অগ্রগতি নেই।

মোট ২৫টি প্রতিষ্ঠানের ১৬৫টি বাসের রুট পারমিট বাতিলের সুপারিশ করা হয় তখন। এসব প্রতিষ্ঠানের তালিকায় নাম রয়েছে বসুমতি, রাইদা, পরিস্থান, এম এম লাভলী, অনাবিল, আলিফ, লাব্বাইক, তুরাগ, বলাকা, স্বাধীন, প্রজাপতি, রজনীগন্ধা, শিকড়, আকাশ, আজমেরী, মনজিল, প্রভাতি, বনশ্রী, আসমানী, প্রচেষ্টা, ভিক্টর, মিডলাইন, ডি লিংক, রাজধানী, গুলিস্তান-গাজীপুর পরিবহন ও ভিআইপি।

জানতে চাইলে ঢাকা মহানগরের পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘আরটিসি বর্তমানে অকার্যকর। তাই কোনো বৈঠক হচ্ছে না। বাস রুট রেশনালাইজেশন নিয়ে দুই মেয়র নতুন করে সিদ্ধান্ত নেবেন। তারপর আরটিসি নিয়ে আবারও আলোচনা হবে।’

বিআরটিএ সূত্র বলেছে, সর্বশেষ আরটিসির বৈঠক হয়েছে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে।

সাধারণ যাত্রীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, বাসের রুট পারমিট বাতিল করার ক্ষমতা কারোই নেই। যাঁরা সরকারি কর্মচারী হয়ে দায়িত্বশীল পদে রয়েছেন তাঁরা বাস মালিকদের তোষামদি করেন। ফলে মালিকদের স্বার্থে ব্যাঘাত ঘটে এমন কোনো কিছুই তাঁদের পক্ষে করা সম্ভব না।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট

Theme Customized BY LatestNews