বৈঠক শেষে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান এ ঘোষণা দেন। পরে রাতেই শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরীর সই করা একটি পরিপত্র জারি করা হয়।
এ অর্থ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ তিন কিস্তিতে পরিশোধ করবে জানিয়ে বলা হয়, যার মধ্যে প্রথম কিস্তি আগামী ৭ মার্চের পূর্বেই পরিশোধ করতে হবে। বাকি দু’কিস্তি পরিশোধের সময় চা শ্রমিক এবং মালিকপক্ষ আলোচনা করে নির্ধারণ করবেন।
গতবছর ২৭ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে ৫০ টাকা বৃদ্ধি করে ১৭০ টাকা নির্ধারণ করে দেন। সেই সঙ্গে মজুরি নির্ধারণের পাশাপাশি বার্ষিক ছুটি, বেতনসহ উৎসব ছুটি, অসুস্থতা ছুটি বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় আরো বলা হয়- চিকিৎসা ব্যয়ের চাঁদা মালিকপক্ষ বহন করবে। ভবিষ্যত তহবিলে নিয়োগকর্তার চাঁদা আনুপাতিক হারে বাড়বে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরেরদিন থেকেই চা শ্রমিকরা বর্ধিত মজুরিসহ বর্ধিত অন্যান্য সব সুবিধাদি পেয়ে আসছেন। তবে শ্রমিকরা ২০২১ এর জানুয়ারি থেকে ২৭ আগস্ট ২০২২ পর্যন্ত সময়ের জন্য বর্ধিত মজুরির বকেয়া দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এহছানে এলাহী, অতিরিক্ত সচিব তৌফিকুল আরিফ, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী, বাংলাদেশীয় চা সংসদ চেয়ারম্যান শাহ আলম, মহাসচিব ড. মোজাফফর আহম্মদ, কামরান টি রহমান, চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল, অর্থ সম্পাদক পরেশ কালিন্দীসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।