
বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা জানান, পোলট্রি খাদ্য, বাচ্চা, ওষুধসহ সব কিছুর দাম ঊর্ধ্বগতির কারণে খরচ বেড়ে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত। বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন খরচ পড়ছে ১৬৭ টাকা, যেখানে খামারি বিক্রি করছেন ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়। ঢাকার বাজারে এই মুরগির মাংস বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত। তাই নেতারা সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন, সারা দেশে মুরগি ও ডিমের যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করে দিতে। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেন তাঁরা।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটে বাংলাদেশ ব্যবসায়ীরা জানান, ‘বাজারে মুরগির সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বাড়ছে। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজি ৩৫০ টাকায়।’
পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব বলেন, করোনা ও পরবর্তী সময়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে পোলট্রি খাদ্য ও ওষুধের দাম বাড়ার কারণেই ডিম ও মুরগির মাংসের খুচরা দাম বেড়েছে। খরচ কুলাতে না পেরে এক লাখ ৫৮ হাজার খামারের মধ্যে বর্তমানে ৯৫ হাজার ৫২৩টি খামার চালু রয়েছে। ফলে প্রতিদিনের মাংসের উৎপাদন কমেছে ২৫.৭১ শতাংশ। একইভাবে ডিমের উৎপাদনও কমেছে ২৫ শতাংশ।