নোট ভার্বালে ঢাকার পক্ষ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে কি না—সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, এটি হয়তো তাদের অনেক দিন আগের পরিকল্পনা। তবে এখনো তো কিছু হয়নি। তিনি বলেন, তিস্তায় পানি কমছে। এ বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেছে বাংলাদেশ।উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ সেচ বিভাগের এক সূত্রের বরাত দিয়ে এ মাসের শুরুর দিকে ভারতের ইংরেজি দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়, তিস্তা ও জলঢাকার পানি টানার জন্য কোচবিহার জেলার চ্যাংড়াবান্ধা পর্যন্ত ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি খাল খনন করা হবে। আরেকটি খালের দৈর্ঘ্য হবে ১৫ কিলোমিটার। এটি তিস্তার বাঁ পাশের তীরবর্তী এলাকায় খনন করা হবে। খাল খনন করা হলে প্রায় এক লাখ কৃষক সেচ সুবিধার আওতায় আসবে। ব্যারাজটি জলপাইগুড়ি জেলার গজলডোবায় অবস্থিত। তিস্তার উজানে ভারতীয় অংশে সেচ সুবিধাসহ বিভিন্ন কারণে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বাঁধ ও খাল আছে বলে ধারণা করা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ও জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক সেহেলী সাবরীন গত বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভারতের উদ্যোগে তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্পের আওতায় আরো দুটি খাল খননের বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘খাল খননের খবরের সত্যতা যাচাইয়ের চেষ্টা করছি। এ বিষয়ে আমাদের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও যৌথ নদী কমিশনের আলোচনা চলছে। এটা নিয়ে তাদের (ভারতের) সঙ্গে আলোচনা হবে বলে আশা করছি।’