গত সোমবার পর্যন্ত আরাভ খানকে বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব থাকতে দেখা যায়। তবে গতকাল থেকে একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস ছাড়া তাকে আর চোখে পড়েনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুবাইয়ের ব্যবসায়ীরা গণমাধ্যমকে জানান, আরাভের দোকান যেসব স্বর্ণালঙ্কার দিয়ে সাজানো হয়েছিল সেসব ছিল আরেক ব্যবসায়ীর থেকে ধার নেওয়া। এসব জুয়েলারির জন্য আরাভ বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় তিন কোটি টাকা জামানত রেখেছিলেন। তবে আরাভ খানের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে খবর প্রচারিত হওয়ার পর ওই ব্যবসায়ী জামানতের টাকা ফেরত দিয়ে স্বর্ণালঙ্কারগুলো ফিরিয়ে নিয়ে গেছেন বলে জানান তারা।
এদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আলোচিত ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশে পুলিশ হত্যা মামলার আসামি আরাভ খানকে দুবাই পুলিশ আটক করেছে বলে গুঞ্জন উঠেছে। তবে এ বিষয়ে এখনো নিশ্চিত নয় বাংলাদেশ পুলিশ। তাদের পক্ষ থেকে আটকের বিষয়টি খোঁজ নেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। এর আগে আরাভ খানের বিরুদ্ধে ইন্টারপোল ‘রেড নোটিশ’ জারি করে। এরপর গতকাল সোমবার রাতেই দুবাই পুলিশ তাকে আটক করে বলে গুঞ্জন ওঠে।
গত সোমবার দুপুরে চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন জানান, আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম ওরফে আপন ওরফে হৃদয়ের বিরুদ্ধে ইন্টারপোল ‘রেড নোটিশ’ জারি করা হয়। এরপর রেড নোটিশ জারির পরিপ্রেক্ষিতে ন্যায়বিচার চেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে খোলা চিঠি দেন আরাভ খান। যদিও কিছুক্ষণ পর ফেসবুক থেকে সেই চিঠি মুছে ফেলা হয়।
সম্প্রতি দুবাইয়ে স্বর্ণের দোকান উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন ও চলচ্চিত্র তারকাদের আমন্ত্রণ জানান আরাভ খান। এ নিয়ে আলোচনার মধ্যে জানা যায় এই আরাভ খান ২০১৮ সালে পুলিশের বিশেষ শাখা-এসবির পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যাকাণ্ডের পলাতক আসামি। তার প্রকৃত নাম রবিউল ইসলাম ওরফে আপন ওরফে হৃদয় ওরফে সোহাগ। মামলার পরপর তিনি ভারতে পালিয়ে গিয়ে আরাভ খান নামে পাসপোর্ট তৈরি করেন। এরপর দুবাইয়ে পাড়ি জমান।