1. fauzursabit135@gmail.com : Fauzur Rahman Sabit : Fauzur Rahman Sabit
  2. sizulislam7@gmail.com : sizul islam : sizul islam
  3. mridha841@gmail.com : Sohel Khan : Sohel Khan
  4. multicare.net@gmail.com : অদেখা বিশ্ব :
সোমবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০৯ অপরাহ্ন

ঢাবির বাংলা বিভাগে পরীক্ষায় মুখমণ্ডল খোলা রাখার নোটিস স্থগিত

ঢাবি প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ, ২০২৩

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংযোগ ক্লাস (টিউটরিয়াল/প্রেজেন্টেশন), পরীক্ষার সময় বাংলা বিভাগের ছাত্রীদের মুখমণ্ডল খোলা রাখা সংক্রান্ত নোটিস স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ফলে সংযোগ ক্লাস, মধ্যবর্তী (মিডটার্ম) পরীক্ষা, চূড়ান্ত পরীক্ষা বা মৌখিক পরীক্ষার সময় কোনো পরীক্ষার্থীকে পরিচয় শনাক্ত করার জন্য মুখমণ্ডল খোলা রাখতে কোনো শিক্ষার্থীকে বাধ্য করা যাবে না বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।

এসংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানির পর বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর দ্বৈত বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। মুখমণ্ডল ঢেকে রাখা সংক্রান্ত নোটিসটি কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। শিক্ষাসচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, রেজিসট্রার ও বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যানকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. ফয়জুল্লাহ ফয়েজ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনোরেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। আইনজীবী ফয়েজ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘নোটিসটি স্থগিত করায় পরীক্ষা ও প্রেজেন্টেশনের সময় বাংলা বিভাগের কোনো ছাত্রীকে কান-মুখ, মুখমণ্ডল খোলা রাখতে আর বাধ্য করা যাবে না।’

গত বছর ১১ ডিসেম্বর বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান একটি বিজ্ঞপ্তি দেন। এতে বলা হয়, ‘বাংলা বিভাগের সব শিক্ষার্থীকে জানানো যাচ্ছে যে গত ১৮ সেপ্টেম্বর (২০২২) অনুষ্ঠিত বাংলা বিভাগের একাডেমিক কমিটি সর্বসম্মতভাবে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে : ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী বাংলা বিভাগের প্রতি ব্যাচের সংযোগ ক্লাস (টিউটরিয়াল/ প্রেজেন্টেশন), মিডটার্ম পরীক্ষা, চূড়ান্ত পরীক্ষা এবং মৌখিক পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীকে পরিচয় শনাক্ত করার জন্য কানসহ মুখমণ্ডল পরীক্ষা চলাকালীন দৃশ্যমান রাখতে হবে।’

ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, “এ সিদ্ধান্ত প্রতিটি ক্লাসে শিক্ষকগণ ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের অবহিত করেছেন। কিন্তু লক্ষ করা যাচ্ছে যে কোনো কোনো শিক্ষার্থী এই সিদ্ধান্ত পালনে শৈথিল্য দেখাচ্ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় : ‘১৮ সেপ্টেম্বর গৃহীত সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে যারা পালন করবে না তাদের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’”

পরে এ বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তিন শিক্ষার্থীর পক্ষে আইনজীবী মো. ফয়জুল্লাহ ফয়েজ গত ১৯ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট করেন। শুনানির পর আদেশ দিলেন উচ্চ আদালত।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট

Theme Customized BY LatestNews