উদ্বোধনী বক্তব্যে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আয়োজিত এই প্রদর্শনী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের অব্যাহত প্রচেষ্টাকে তরান্বিত করার ক্ষেত্রে একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। তিনি এই প্রদর্শনীটি সফলভাবে আয়োজন করতে আন্তরিকভাবে সহায়তার জন্য মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরকে বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের ধন্যবাদ জানিয়ে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বলেন, ‘আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং গণহত্যার ইতিহাস আন্তর্জাতিক সম্পদায়ের মাঝে গভীরভাবে ছড়িয়ে দিতে আমাদের আরো জোর প্রচেষ্টা চালানো দরকার’। আজকের এই প্রদর্শনী কেবল আমাদের ১৯৭১ সালের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় করতে সহায়তা করবে না, আগামী দিনগুলোতে বিশ্বব্যাপী গণহত্যা এবং অন্যান্য নৃশংস অপরাধ রোধের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সকলের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত মুহিত।
ঢাকার মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর থেকে ২৭টি আলোকচিত্র সংগ্রহ করে ১৯৭১ সালের গণহত্যার ওপর এক বিস্তারিত উপাখ্যান উপস্থাপন করা হয়েছে এই প্রদর্শনীতে। এটি আগামী ৩১ শে মার্চ ২০২৩ অবধি দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।