এর আগে গত বুধবার ভোররাত ৪টার দিকে সাভারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের আমবাগান এলাকায় শামসুজ্জামানের বাসায় যান ১৪ থেকে ১৫ ব্যক্তি। নিজেদের সিআইডি সদস্য পরিচয় দিয়ে শামসুজ্জামানকে সেখান থেকে তুলে নেওয়া। পরে মঙ্গলবার রাত ২টা ১৫ মিনিটে ঢাকার তেজগাঁও থানায় একটি মামলার তথ্য পাওয়া যায়। স্থানীয় এক রাজনৈতিক নেতা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ওই মামলা করেছেন। কর্তৃপক্ষ সেটি তদন্ত করার কথা বলেছে। পরে রাজধানীর রমনা মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা হয় একটি মামলা। সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রমনা মডেল থানার পরিদর্শক আবু আনছার।প্রথম আলো অনলাইনের তথ্য মতে, গত রবিবার তাদের অনলাইনে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন ফেসবুকে প্রকাশের সময় দিনমজুর জাকির হোসেনের উদ্ধৃতি ব্যবহার করে একটি ‘ফটোকার্ড’ করা হয়। তাতে ভুল করে জাকির হোসেনের জায়গায় একটি শিশুর ছবি সংযুক্ত করা হয়। এই অসংগতি নজরে এলে ১৭ মিনিট পরেই ফেসবুক পোস্টটি সরিয়ে নেওয়া হয়। পাশাপাশি প্রতিবেদন সংশোধন করে তা অনলাইনে প্রকাশ করা হয়।
শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা ও আটকের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংবাদপত্রের সম্পাদকদের সংগঠন সম্পাদক পরিষদ, এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশ, মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)। তারা এই মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। উদ্বেগ জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিক্ষোভ মিছিল করেছে সিপিবি। প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন সাভার, ধামরাই, আশুলিয়ার কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা। বিক্ষোভ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।