শনিবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসির) মো. আসাদুজ্জামান।
আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আদালত চত্বর থেকে ছিনিয়ে নেওয়া জঙ্গিরা দেশেই আছেন। আদালত থেকে তারা সদরঘাট হয়ে পালিয়ে ‘আনসার হাউজে’ অবস্থান নেয়। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা শিখাকে গ্রেপ্তারের আগে পরিকল্পনা ও পালিয়ে যাওয়ার বিস্তারিত তথ্য জানতে পারছিলাম না। শিখাকে গ্রেপ্তারের পর আমরা কোন দিক দিয়ে পালিয়েছে, তা জানতে পেরেছি।’
পুলিশ জানায়, আদালত থেকে জঙ্গিরা সদরঘাট হয়ে একটি শেল্টার হাউসে অবস্থান নেন। সেখান থেকে অন্য জায়গায় পালিয়ে যান তারা। আর আদালত চত্বর থেকে শিখাসহ অন্যরা বিকল্প রাস্তা দিয়ে এলাকা ছাড়েন।
সিটিটিসি জানিয়েছে, ফাতেমা তাসনীম শিখা ২০১৪ সালে এমআইএসটি থেকে প্রথম শ্রেণিতে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করেন। একপর্যায়ে তার ভাই মোজ্জাম্মেল হোসেন সাইমনের মাধ্যমে আনসার আল ইসলামের আদর্শে দীক্ষিত হন। পরবর্তী সময়ে সায়মনের মাধ্যমে আবু সিদ্দীক সোহেলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।
সোহেল আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার সদস্য ছিলেন। সোহেলের সঙ্গে বিয়ের পর থেকে সে আরও গভীরভাবে সংগঠনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে।
২০১৭ সালে মুক্তমনা ব্লগার অভিজিত রায়, দীপন ও নীলাদ্রি নিলয় হত্যা মামলার আসামি হিসেবে আবু সিদ্দিক সোহেল গ্রেপ্তার হয়। গ্রেপ্তারের পর থেকে বিভিন্ন এনক্রিপ্টেড অ্যাপসের মাধ্যমে শিখা কারাবন্দি সোহলসহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখে সংগঠনের কার্যক্রমে সক্রিয় কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন।
গত ২০ নভেম্বর নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য হাজতী মইনুল হাসান শামিম ওরফে সিফাত ওরফে সামির ওরফে ইমরান (২৪), আবু সিদ্দিক সোহেল (৩৪), আরাফাত রহমান (২৪) এবং আব্দুস সবুরদের সিএমএম কোর্টের হাজতখানায় নিয়ে যাওয়ার সময় সিএমএম কোর্টের মূল ফটকের সামনে পৌঁছামাত্র নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের অজ্ঞাতনামা সদস্যরা তাদের ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য কর্তব্যরত পুলিশের ওপর হামলা করেন। একপর্যায়ে আসামী মইনুল হাসান শামিম ওরফে সিফাত (২৪) এবং আসামী মো. আবু সিদ্দিক সোহেলকে (৩৪) ছিনিয়ে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় পরে মামলা হলে সাবেক রেলমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।