তিনি বলেছেন, সরকার অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু এটি সরকার বা নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে সম্ভব নয়। অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য সব রাজনৈতিক দল ও পক্ষকে আগ্রহ ও অঙ্গীকার নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
সরকার বিদেশি পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানানো হবে বলে আগেই জানিয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে এ প্রসঙ্গে বলেছেন, পর্যবেক্ষকরা যেন নিরপেক্ষ হন। তাঁরা যেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত না হন।
ইইউর ডেলিগেশন প্রধান চার্লস হোয়াইটলি সম্প্রতি বলেছেন, ইইউর হাইরিপ্রেজেন্টেটিভ (ইইউর পররাষ্ট্রমন্ত্রী) নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর জন্য বাংলাদেশকে অগ্রাধিকারের তালিকায় রেখেছেন। তবে এ ক্ষেত্রে নির্বাচন ‘যথেষ্ট অংশগ্রহণমূলক’ হতে হবে। আর নির্বাচন পর্যবেক্ষণের ইইউর সঙ্গে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সমঝোতাও হতে হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন ইইউর ডেলিগেশন প্রধানকে বলেছেন, ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়ে ইইউর অবস্থান বাংলাদেশের অবস্থানের সঙ্গে অনেকটাই সাদৃশ্যপূর্ণ। তিনি জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ সবার সমৃদ্ধির জন্য অবাধ, উন্মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক, শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও নিয়ম ভিত্তিক ইন্দো-প্যাসিফিকে বিশ্বাস করে।
অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিকে বাংলাদেশের ইন্দো-প্যাসিফিক পরিকল্পনার শীর্ষ অগ্রাধিকার হিসেবে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি এ দেশে আরো অবকাঠামো নির্মাণ, পরিবেশবান্ধব পরিবহন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও ‘সবুজ বিনিয়োগে’ এগিয়ে আসতে ইইউকে আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানান। ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির জন্য আরো বাস্তবসম্মত উদ্যোগ নিতে তিনি ইইউকে আহ্বান জানান।