ভোট পাওয়ার হারও গতবারের থেকে পাঁচ শতাংশ বাড়াতে পেরেছে কংগ্রেস। দক্ষিণ ভারতের কোনো রাজ্যে আবার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় সরকার গঠন করতে চলেছে কংগ্রেস। তামিলনাড়ুতে তারা ডিএমকের সঙ্গে ক্ষমতায় আছে। আর দক্ষিণ ভারতে বিজেপি আর কোথাও ক্ষমতায় থাকল না।
এই বিপুল জয়ের পর কংগ্রেসের সামনে এখন সমস্যা হলো—মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন? মুখ্যমন্ত্রী পদের প্রধান দাবিদার সিদ্ধারামাইয়া, শিবকুমার, পরমেশ্বরসহ অনেক নেতা। এর মধ্যে সিদ্ধারামাইয়া আগে মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। শিবকুমার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও রাহুল গান্ধীর খুবই আস্থাভাজন নেতা। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কংগ্রেস হাইকম্যান্ড এই সিদ্ধান্ত নেবে।
কর্ণাটক হলো কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের রাজ্য। তিনি এখানে মাটি কামড়ে পড়েছিলেন। রাহুল গান্ধীও কর্ণাটকে ১২ দিন সময় দিয়েছেন। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ২৬টি জনসভা ও রোড শো করেছেন। সোনিয়া গান্ধী পর্যন্ত অনেক দিন পর নির্বাচনের প্রচারে নেমেছেন।
সবচেয়ে বড় কথা, কর্ণাটকে কংগ্রেসের রাজ্য নেতারা খুবই শক্তিশালী। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শিবকুমার দক্ষ সংগঠক। সাবেক মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়ার জনভিত্তি আছে। ভোটের আগে বিজেপির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টার এবং উপমুখ্যমন্ত্রী সাভাড়ি কংগ্রেসে যোগ দিয়ে নির্বাচনে লড়েছেন।
অন্যদিকে বিজেপির প্রচারে সবচেয়ে বড় মুখ ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি ও অমিত শাহ সবচেয়ে বেশি জনসভা ও রোড শো করেছেন। রাজ্য নেতাদের মধ্যে প্রার্থী করা নিয়ে প্রচুর ক্ষোভ ছিল। আর ভোট সমীক্ষাগুলোর মতে, মানুষের ক্ষোভ ছিল দুর্নীতি, চাকরি না পাওয়া ও জিনিসের দাম নিয়ে।
বিজেপি ভোটের প্রচারে টিপু সুলতান থেকে শুরু করে বজরঙ্গবলী, লাভ জিহাদের মতো বিষয়গুলো তুলেছিল। দেখা গেল, মানুষ তাদের সমস্যাগুলোকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। ধর্মীয় বিভাজনের বিষয়কে নয়।