শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আজ বুধবার গণভবনে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দ তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে এলে তিনি এই নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশের জনগণের মধ্য দিয়ে গড়ে উঠেছে এবং এই দলটির মাধ্যমেই দেশের প্রতিটি অর্জন এসেছে। আওয়ামী লীগ জনগণের সংগঠন এবং এটি জনগণের জন্য কাজ করবে, এটাই আমাদের একমাত্র অঙ্গীকার।’
বাকি দলগুলোকে লুটেরা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারা কখনোই জনগণের কল্যাণে কাজ করে না। তাই সন্ত্রাসী, খুনি বা যুদ্ধাপরাধীদের দল যাতে জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে, সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। দুর্ভাগ্যজনক যে, ভোট চোর ও ডাকাতরা এখন দেশের গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলছে। এখন আমাদের তাদের কাছ থেকে গণতন্ত্রের পাঠ শুনতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে আওয়ামী লীগই একমাত্র দল, যারা স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স প্রবর্তন ও ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রস্তুত করার মাধ্যমে ভোটের অধিকার নিশ্চিত করে মানুষের আস্থা অর্জন করেছে। নির্বাচনে কারচুপির লক্ষ্যে বিএনপি-জামায়াত জোট তো দেশে এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটারসহ ভোটার তালিকা প্রস্তুত করেছিল। জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে আমরা সব সময় তাদের পাশে থাকব। আমরা তাদের জন্য আমাদের কাজ অব্যাহত রাখব।’
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমরা জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য সর্বদা তাদের পাশে থাকব। আমরা যেভাবে তাদের আস্থা অর্জন করে ক্ষমতায় এসেছি, ঠিক তেমনি আমরা তাদের জন্য আমাদের কাজ করে যাব।’
তিনি ২০০৮ সালের নির্বাচনের উদাহরণ টেনে বলেন, ‘ওই নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোট মাত্র ২৯টি আসন পায়। অবশিষ্ট আসন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট পায়। এটাই প্রমাণ করে যে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি যে একই―এমন ধারণা ভুল।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রতি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস আমাদের ধরে রাখতে হবে। দেশের মানুষের এই বিশ্বাস ও আস্থাই আমাদের একমাত্র শক্তি। এটা ছাড়া আমাদের আর কোনো শক্তি নেই।’ তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের স্মরণ করিয়ে দেন, স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগকে ভেঙে দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালান।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আওয়ামী লীগ প্রত্যন্ত গ্রামবাসীদের প্রায় সকল নাগরিক সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ যেকোনো দুর্যোগে সব সময়ই মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। আর এভাবেই দলটি মানুষের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।