1. fauzursabit135@gmail.com : Fauzur Rahman Sabit : Fauzur Rahman Sabit
  2. sizulislam7@gmail.com : sizul islam : sizul islam
  3. mridha841@gmail.com : Sohel Khan : Sohel Khan
  4. multicare.net@gmail.com : অদেখা বিশ্ব :
সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৪৭ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
সোনাতলায় মাদকের ব্যপকতা প্রতিরোধে বিক্ষোভ সমাবেশ সোনাতলায় মাদক নির্মূলের দাবিতে নাগরিক কমিটির স্মারকলিপি প্রদান বৈশ্বিক অর্থায়ন সংকটের প্রেক্ষিতে এনজিওদের বর্তমান অবস্থা ও করণীয় বিষয়ক মতবিনিময় সভা প্রবীন নাট্যকর্মী বাবলু খানের মৃত্যুঃ বিভিন্ন মহলের শোক পশ্চিম বঙ্গের কবি মনিকা রায়ের কবিতার ডায়েরি থেকে দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত বিএনপি নেতা মতিন কাজীর চিকিৎসার খোঁজ নিলেন ভিপি সাইফুল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ শ্রিম্প অ্যান্ড ফিস ফাউন্ডেশনের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রকল্প ব্যবস্থাপনা-বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত সোনাতলায় কৃষকদলের রাজনৈতিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত সোনাতলায় মাংস প্রক্রিয়াজাতকারীদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

আসকার ইকবাল এর জেল জীবনের গল্প “অবরুদ্ধ কারাগার” ০৬

আসকার ইকবাল
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৮ মে, ২০২৩
পর্ব – ০৬
আমার ওয়ার্ডে আমার সঙ্গে কেস পার্টনার শুধু মহসিনকে দেয়া হলো।আর বাকিদের দেয়া হলো অন্য ওয়ার্ডে।এই ওয়ার্ডে অধিকাংশই মাদক মামলার আসামী। শুধু আমার ওয়ার্ড নয়।পুরো জেলখানায় গিজ গিজ করছে মাদক মামলার আসামীরা। জেলে শতকরা ৯০ ভাগই মাদক মামলা আর বাকিরা অন্য মামলা। অধিকাংশই ইয়াবার কারবারি।ওয়ার্ডে এক ভদ্রলোক পেলাম যার মাথায় টুপি আর পরনে পাঞ্জাবী পায়জামা। ভাবলাম উনি হয়তো আমাদের একই মামলার। কিন্তু পরে জানতে পারলাম তিনিও মাদক মামলার আসামী।ভদ্রলোকের নাম জামাল ভূঁইয়া। তাবলীগের আমির সাহেব। যখন ওয়ার্ডে সকলে এক সঙ্গে নামাজের জন্য দাড়ালাম তখন ভদ্রলোক আমাকে সামনে দাড় করিয়ে দিয়ে বললেন নামাজ পড়াতে। যদিও আমি শৈশবে মাদ্রাসায় পড়েছি এবং প্রায় তিন বছর হাফেজী মাদ্রাসার ছাত্র ছিলাম সেহেতু নামাজ পড়াতে কোন ধরনের অসঙ্কোচ বোধ করিনি।এবং আমি যমুনা ৬/১ ওয়ার্ডের ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করা শুরু করলাম। নামাজ পড়িয়ে মোটামুটি দিন চলে যাচ্ছিলো।ওয়ার্ডে যাওয়ার মিনিমাম ১৫ দিন পর আমার অকালতনামা আসলো।আমার ছোট ভাই পাঠিয়েছে। উকিলের নাম সৈকত হোসেন। বাড়ি থেকে অকালতনামা আসার পর মোটামুটি আশ্বস্ত হলাম যে আমার মামলা পরিবার থেকে পরিচালিত হচ্ছে।থানায় মোবাইল রেখে দেয়ার কারনে সব নাম্বার মোবাইলেই থেকে যায়।আমার সমস্যা হলো আমি কোন নাম্বার মনে রাখতে পারি না। শুধু শাহীন নামে আমার এক বন্ধুর নাম্বার মুখস্ত ছিল।সপ্তাহে একদিন বন্দীদের ফোন কল।ফোন কলের দিন আমি শাহীনের নাম্বারে যোগাযোগ করে জানলাম আমার বাড়িতে যোগাযোগ করতে।শাহীন আমার বাড়িতে যোগাযোগ করলে বাড়ি থেকে অকালনামা পাঠায়।আরো ১৫ দিন পর কারাগারের মাইকে আমার নাম এবং পিতার নাম ঘোষণা করে বলা হয় আমাকে জরুরী ভিত্তিতে বাহির মেডিকেলে পাঠানো হবে।বুঝতে পারলাম এক বছর আগে আমাকে মানসিক রোগের ডাক্তার দেখানো হয়। ডা:জাকারিয়া সিদ্দিকীর মেডিকেল সার্টিফিকেট অনুযায়ী আমি সিজোফ্রেনিয়া রোগে আক্রান্ত।এবং আমার বেশ কিছুদিন চিকিৎসাও চলেছে।উকিল সাহেব সেই কাগজপত্র কোর্ট এ উপস্থাপন করেছেন। কোর্টের আদেশে ডাক্তারের সার্টিফিকেট অনুযায়ী আমার আবার পুনরায় পরীক্ষা নিরীক্ষা হবে। এই জন্য বাহির মেডিকেলে পাঠানো হবে। (চলবে)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট

Theme Customized BY LatestNews