গত কয়দিনে যা হয়েছে তাতে শরীর খারাপ আমার। মেইল জমা দেওয়ার সময় কোনো আবেগ কাজ করেনি।’ চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুইজনই। আজ বিকেল জরুরী সভা ডেকেছে বাফুফে কার্যনির্বাহী কমিটি। ‘মানসিক অশান্তি’ নিয়ে বাফুফেতে আর কাজ করতে চান না গোলাম রব্বানী। যেকারণেই নারী ফুটবলের দায়িত্ব ছেড়েছেন তিনি। গোলাম রব্বানী ছোটনের হাত ধরেই বাংলাদেশের নারী ফুটবলের জাগরণের শুরু। ২০০৮ সাল থেকে দেশের নারী ফুটবলের সঙ্গে জড়িত তিনি।
তার অধীনে এসেছে নারীদের সব সাফল্য। সিনিয়র জাতীয় দল এবং বয়সভিত্তিক মিলিয়ে এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাতটি শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ। নারী ফুটবলে সবচেয়ে বড় সাফল্য ২০২২ সালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়। সেটাও এসেছে এই ছোটনের হাত ধরে।
দেশের নারী ফুটবলে তৈরি হয়েছে অস্থিরতা। নেমে এসেছে সংকট। গত আট মাস ধরে কোনো ম্যাচ খেলা হয়নি সাবিনাদের। ফ্র্যাঞ্জাইজি লিগ আয়োজনের তোর-জোর করলে তা এখনো অন্ধকারে। সব মিলিয়ে হতাশা চেপে বসেছে নারীদের। তাই ফুটবল ছাড়ার সিদ্ধান্তও নিচ্ছেন সাফজয়ী নারীরা। ইতোমধ্যে চার ফুটবলার ছেড়েছেন বাফুফের ক্যাম্প। এর মধ্যে আনাই মোগিনি, সাজেদা খাতুন ও সিরাত জাহান স্বপ্না অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। আর আঁখি খাতুন পাড়ি জমাচ্ছেন চীনে।