লৌহজং সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক জানান, ১৯৯২ সাল থেকে পদ্মার অব্যাহত ভাঙ্গনে লৌহজংয়ের এক তৃতীয়াংশ অর্থ্যাৎ ৪০ গ্রাম পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। লৌহজং উপজেলা সদর, স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স, থানা, উপজেলা পরিষদ, খাদ্যগুদাম, ঐতিহ্যবাহী দিঘিলী বাজার, স্কুল, মসজিদসহ অসংখ্য সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এখন পদ্মার পেটে। দীর্ঘ চেষ্টার পর সরকার পদ্মা সেতুর বাম তীরে স্থায়ী বাঁধের প্রকল্প গ্রহণ করেছে। কিন্তু এরই মধ্যে অবৈধ বালু লুটেরা হুমড়ি খেয়ে পরছে পদ্মায়।
আর এই প্রতিবাদে এই আয়োজন।
মুন্সীগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি বলেন, লৌহজং ও টঙ্গীবাড়িকে রক্ষায় সরকার ৪৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। প্রকল্পটি বর্তমানেচলমান রয়েছে। কিন্তু কিছু লোকের সুবিধায় পদ্মায় অবৈধভাবে বালু কটা হচ্ছে।
এতে এ বছর বর্ষা শুরুর প্রক্কালেই পদ্মায় আবারো ভাঙন দেখা দিয়েছে। কিছু লোকের ব্যক্তি স্বার্থেও জন্য আমার এলাকাবাসী ঘর ও বাস্তু হারা হবে তা কখনই মেনে নেওয়া যায়না।
তিনি আরো বলেন, সরকারের এ কোটি কোটি টাকার প্রকল্প, এগুলোকেও ধ্বংস হতে দেওয়া যায় না। বালু লুটেরাদেরকে এখনই দমন করা হবে। এর প্রতিবাদে আজ নৌ র্যালিতে অংশ নিয়েছি।এর পরেও যদি অবৈধ এই বালু লুটেরা বালু কাটা বন্ধ না করে তবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।