তাফসীর আহম্মেদ মনা(২৩) হত্যার ঘটনায় উপজেলা ও ইউনিয়ন যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের ১৭ নেতাকর্মীকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (১৯ জুন) গভীর রাতে নিহত মনার মা মোছাঃ নাহিদা আক্তার লিপি বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৩৭। মামলায় অজ্ঞাতনামা হিসেবে আরও ৪/৫ জনকে আসামী করা হয়েছে। নিহত মনা ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের দিয়াড় বাঘইল গ্রামের রূপপুর পাকার মোড় সংলগ্ন সৌদি আরব প্রবাসী তানজিল আহমেদ তুহিনের ছেলে।
র্যাব ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে হত্যা মামলার ৫নং আসামী পাকশী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শিমুল সহ যুবলীগকর্মী কালা ও হাবুকে আটক করেছে। গতকাল (মঙ্গলবার) বিকেলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মোঃ হাসান বাশির এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সুত্র জানায়, পূর্ব শত্রুতাসহ পদ্মা নদী ও কৃষি জমি থেকে মাটি এবং বালু কাটাকে কেন্দ্র করেই বিগত মাস খানেক ধরে প্রতিপক্ষ অবুজ ও লিটন গ্রুপের সঙ্গে নিহত মনার পক্ষের শাহিনের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিলো। ঘটনার দিন (গত শনিবার) বিকেলে পরিকল্পিতভাবে মনাকে বাড়ি থেকে আসামী হাবু ডেকে নিয়ে ঈশ্বরদীর লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নের নবীনগর এমপি মোড়স্থ পাবনা ট্যাংক লরি ও কার্ভাড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে যান। সেখানে আসামীরা এলোপাতারিভাবে গুলি করে ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মনাকে হত্যা করেন। ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অরবিন্দ সরকার জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ সুপারসহ আইন শৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক দল কাজ করছেন। হত্যার কারন জানার চেষ্টা চলছে।
ওসি আরও জানান, এই ঘটনায় নিহত মনার মা নাহিদা আক্তার লিপি বাদী হয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা অবুজকে প্রধান আসামী করে ১৭ জনকে নামীয় ও অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলা দায়েরের পর অভিযান চালিয়ে শিমুল, হাবু ও কালাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট