কোরবানির ঈদও জেলখানায় কাটিয়ে দিলাম। কোরবানির ঈদের মিনিমাম দুই মাস পর আমার রমনা থানার মামলা – ২৫(১০)২১ নং মামলাটির জামিন বেল আসে। দুটি মামলার জামিন হলেও পল্টন থানায় আরো একটি মামলা থাকায় এবারো আমার বাহিরে যাবার সুযোগ হয়নি। চকবাজার থানার মামলার একটা সূত্র আছে। আর তা হলো আমাকে চকবাজারে ঘটে একটা মিছিলের নিকটবর্তীতেই এরেস্ট করেছে। তাই তারা সন্দেহ করেছে আমি হয়তো বিএনপি – জামাতের কর্মী। সন্দেহমূলক একটি মামলা তারা আমার বিরুদ্ধে করেছে। কিন্তু সেদিন রমনা বা পল্টন থানার ধারে কাছেও আমি যাইনি। কিন্তু রমনা ও পল্টন থানার এই গায়েবী মামলা কোথা এসে উড়ে এসে জুড়ে গেলো আর কি বুঝেই আইনের লোকেরা এই মামলাগুলো আমার নামে দিলো এই প্রশ্নটা স্বাভাবিকভাবেই করা উচিত নয়? যোগ-বিয়োগ আর গুণ-ভাগ করলে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে আমার নামে মোট তিনটিই মামলাই মিথ্যা মামলা। এর মধ্যে চকবাজারের মামলার সূত্র হচ্ছে তারা আমাকে অন দ্যা স্পটে পেয়ে সন্দেহমূলকভাবে গ্রেফতার করেছে।কিন্তু রমনা ও পল্টন থানার আশেপাশে তো দূরের কথা ওই এলাকার ছায়াও যেহেতু আমার মাড়ানো হয়নি সেখানে কি করে তারা ঐ থানাগুলো থেকে মামলা দেয় এটা কি প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার মতো বিষয় নয়?তবে এই কি দেশের আইন ও বিচার ব্যবস্থা? মানুষ বিপদে পড়লে সুবিচারের জন্য কার কাছে যাবে? রক্ষকরা সকলেই তো ভক্ষকের ভূমিকা পালন করছে। আমার নিজের মামলা ও পরিস্থিতি দাড়াই আমি তার স্পষ্ট প্রমাণ পেলাম। যাই হোক আমার আর একটি মামলা জামিন হওয়া বাকি আছে। পল্টন থানার – ৩৪ (১০)২১ নং মামলা। এই মামলাটি জামিন হলেই আমি কারাগার থেকে মুক্তি পাবো। প্রথম মামলা জামিন হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ছোট ভাই কয়েকবার দেখা করতে এসে কারা পিসিতে ১/২ হাজার টাকা করে দিয়ে গেছে। সেটা দিয়ে বেশ কিছুদিন ভালোভাবে গেলো। জামিন বা কারাগারের বাইরে যাবার আগ্রহ প্রায় শেষ হয়ে গেছে বললেই চলে। মনে হতে লাগলো বাকি জীবন যদি কারাগারে কাটিয়ে দেই তবে সেটাই ভালো হয়।