বাংলাদেশে আগামী ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু নির্বাচনের বৈশ্বিক স্বীকৃতির পরীক্ষা শুরু হয় আগে থেকে। গত দুই নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠায়নি ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এবারের নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশে একটি অনুসন্ধানী মিশন পাঠাচ্ছে ইইউ। তারা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ আছে কি না তা যাচাই করবে।
ঢাকায় ইইউর রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেন, ইইউর অনুসন্ধানী মিশনটি আসছে আগামী রবিবার। মিশনের সদস্যরা নির্বাচনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশে বেশ কিছু রাজনৈতিক দল আগামী নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য ইইউকে অনুরোধ জানিয়েছে।
সরকারের মন্ত্রীরাও নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনকে স্বাগত জানানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। নির্বাচন পর্যবেক্ষণের গুরুত্বের বিষয়ে বিদেশিরাও অবগত। তবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্রে তারা কিছু নীতিমালা অনুসরণ করে। যেমন—নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হলে বা পর্যবেক্ষণের সম্ভাব্য কোনো প্রভাব না থাকলে তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণে প্রতিনিধিদল পাঠায় না।
ইইউর রাষ্ট্রদূত বলেন, ইইউর পররাষ্ট্রনীতি ও নিরাপত্তা বিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ জোসেফ বোরেল এ বছর নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সম্ভাব্য তালিকায় বাংলাদেশকে রেখেছেন। বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন যদি যথেষ্ট অংশগ্রহণমূলক হয়, তবে ওই নির্বাচন পর্যবেক্ষণের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
উল্লেখ্য, রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছতে না পারায় হতাশা প্রকাশ করে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠায়নি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউরোপীয় পার্লামেন্ট পর্যবেক্ষক পাঠায়নি। তবে সে সময় বাজেটস্বল্পতার কথা বলা হয়েছিল।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র বেসরকারি একটি সংস্থার (এনজিও) প্রতিনিধিদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য মনোনীত করেছিল। তাদের ভিসা পাওয়া নিয়ে জটিলতার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র সেই পর্যবেক্ষণ মিশন বাতিল করেছিল।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট