বিলটি পাসের প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির মো. ফখরুল ইমাম বলেছেন, এটি পাসের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা খর্ব হয়েছে।
আগে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সাত দিন আগে ঋণ পরিশোধের বিধান ছিল। এখন সেটা এক দিন আগে করার মাধ্যমে ঋণখেলাপিদের নির্বাচনে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, যা সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিপন্থী।
গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানও এ বিল পাসে আপত্তি জানিয়ে বলেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার জন্য আরপিও সংশোধনের প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন হলো নির্বাচনব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
এই কমিশনের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। জনগণ নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়।
গত ৫ জুন সংসদের বিবেচনার জন্য আরপিও সংশোধনে বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম বিলটি উত্থাপনে আপত্তি জানালেও তা কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
এরপর গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। বিলের ওপর জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠনোর প্রস্তাব দেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টি, গণফোরাম ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা। ওই প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তাঁরা নির্বাচন পরিচালনায় ইসির ক্ষমতা খর্ব, নির্বাচনে ঋণখেলাপিদের বিশেষ ছাড় প্রদানসহ নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে সরকারের পক্ষ থেকে এই বিলটি পাসের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন। তাঁরা বিলটি পাসে আপত্তি জানালেও তাঁদের প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। পরে কণ্ঠভোটে বিলটি পাস হয়।