ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার এলাকায় হঠাৎ করে বয়ে যাওয়া ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মুজিববর্ষে উপহার পাওয়া আধাপাকা ঘরসহ আর কিছু ঘরবাাড়ি ভেঙ্গে পড়েছে। গাছপালা ও উপরে গেছে বিদ্যুতের খুটি এবং ছিড়ে গেছে বৈদ্যুতিক তার। বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। ঝড়ের সাথে হয়েছে বৃষ্টি।
উপজেলার বারোবাজার ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামে শুক্রবার (৭ জুলাই) ভোররাত ৪ টার সময় ৫ টি ঘরের মানুষ ক্ষতির শিকার হয়েছে। উড়ে গেছে বারান্দাসহ ঘরের ছাউনির টিন। এছাড়াও একই উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের আবু তালেবের ঘর ঝড়ের কারনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যদিকে গাছ ও ডালপালা ভেঙে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকায় সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন লোকজন।
মুজিববর্ষে উপহার পাওয়া ঘরের মালিক জুলফিক্কার জানান, হঠাৎ করে শুক্রবার ভোররাত ৪ টার দিকে ঝড় ওঠে। মুহুর্তের মধ্যে আমার বাড়ির আশ পাশের গাছপালা ও বাড়িঘর লন্ডভন্ড হয়ে পড়ে। মুজিববর্ষে উপহার পাওয়া ঘর ঝড়ে ভেঙে য়ায। কষ্টে মধ্যে জীবনযাপন করলেওআমাদের কেউ খোঁজখবর নিতে আসেনি।
ক্ষতিগ্রস্ত মর্জিনা বেগম জানায়, মুহূর্তের মধ্যেই আমার ঘর লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। অল্পের জন্য বেঁচে গেছি। এখনো ঘরের চালের খোঁজ পাইনি। মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকুও হঠাৎ ঝড়ে সব নষ্ট হয়ে গেছে। এই কথা বলে সে কাঁন্নায় ভেঙে পড়ে। এ ব্যাপারে তিনি সরকারের সহযোগীতা কামনা করেছেন।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত ইসাহাক বলেন, মুহূর্তের মধ্যে ঝড়ে গাছ পড়ে তাদের টিনের চালা ঘরসহ কয়েকটি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারা হলেন তুহিন মন্ডল, বুধো, আনিচুর, হামিদুর রহমার।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভোররাতে পিরোজপুর গ্রামের উত্তর পাড়ায় আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে নির্মিত আধাপাকা ঘরসহ আর ও চারটি ঘর ভেঙে পড়েছে এবং টিনের চালা উড়ে গেছে। বিদ্যুতের খুটি উপড়ে তার ছিড়ে গেছে। বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। ভেঙ্গে গেছে খামারের অধিকাংশ স্থান। খোলা আকাশের নিচে গরু রাখা হয়েছে।
বারোবাজার পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সুত্রে জানা গেছে, শুক্রবার ভোর রাতে হঠাৎ করে বয়ে যাওয়া ঝড়ে কয়েকটি বিদ্যুতের খুটি উপড়ে গেছে। এছাড়া কিছু কিছু স্থানে তার ছিড়ে গেছে। লাইনম্যানেরা কাজ করছে। তবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে অনেকটাই সময় লাগবে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান, শুক্রবার ভোরে হঠাৎ ঝড় হওয়ায কয়েকটি ঘর ভাঙার সংবাদ শুনেছি কিন্ত মুজিববর্ষের উপহার পাওয়া ঘরের সংবাদ শুনিনি। ব্যস্ততার কারনে যেতে পারিনি। আগামিকাল ঘটনা স্থানে যেয়ে এর ব্যবস্থা নেব।